হিন্দুত্ববাদ মতাদর্শে বিশ্বাসী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী ভিডি সাভারকরের ১৪০ তম জন্মবার্ষিকীতে মুক্তি পেল তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া ছবির টিজার। রবিবার, ২৮ মে মুক্তি পেয়েছে ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’-এর টিজার। নাম ভূমিকায় দেখা যাবে রণদীপ হুডাকে। এই ছবিটির পরিচালনা তিনিই করেছেন। হ্যাঁ, এটির হাত ধরেই পরিচালক হিসেবে তাঁর হাতে খড়ি হল। পাশাপাশি উৎকর্ষ নৈথানির সঙ্গে মিলে তিনি এই ছবির কাহিনি লিখেছেন।
টিজারের শুরুতেই শোনা যায় রণদীপ হুডার কণ্ঠস্বর। সেখানে তিনি বলতে থাকেন এই স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছে। কিন্তু এটা অনেক আগেই শেষ হতে পারত যদি সকলে অস্ত্র নিয়ে এই যুদ্ধ করতো। তিনি আরও বলেন, খুব কম সংখ্যক মানুষই স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন বাকিরা কেবল এই যুদ্ধকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের সুবিধা তুলতে চেয়েছিল।
তিনি এই টিজার এবং পোস্টার শেয়ার করে লেখেন, ‘ব্রিটিশদের মোস্ট ওয়ান্টেড ভারতীয়র তালিকায় থাকা প্রথম নাম। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিং এবং ক্ষুদিরাম বসুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যিনি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। কে এই বীর সাভারকর? তাঁর প্রকৃত গল্পটি দেখুন। রণদীপ হুডা ধরা দিচ্ছেন ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’ হিসেবে। ২০২৩ সালেই মুক্তি পাবে এই ছবি।’
রণদীপ এই ছবির বিষয়ে নিজে জানিয়েছেন, 'সাভারকর একটি অসাধারণ জীবন যাপন করেছেন। আমি আমার ছবির জন্য গবেষণা করতে গিয়ে তাঁর বিষয়ে আরও অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি। আমি ওঁকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি। তাঁর ১৪০ তম জন্মদিনে আমাদের ছবির কিছু দৃশ্য ভাগ করতে নিতে ভীষণই আনন্দিত বোধ করছি।'
তিনি তাঁর ভয়েস ওভারে আরও বলেন, 'গান্ধী ভুল ছিলেন না। কিন্তু উনি যদি অহিংস আন্দোলন এবং ভাবনায় বিশ্বাস না রাখতেন তাহলে আরও ৩৫ বছর আগেই ভারত স্বাধীন হয়ে যেত।'
এখানে তাঁর উপর, অর্থাৎ সাভারকরের উপর জেলে কী পরিমাণ অত্যাচার হতো সেটা তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবির মূল প্রশ্ন হিসেবে উঠে আসবে 'কে তাঁর গল্পকে শেষ করেছিল?'
প্রসঙ্গত এই ছবির প্রযোজনা করেছেন রণদীপ হুডা, আনন্দ পণ্ডিত এবং সন্দীপ সিং। অমিত সিয়াল এবং অঙ্কিতা লোখান্ডেকেও এই ছবিতে দেখা যাবে। চলতি বছরেই এই ছবিটি মুক্তি পাবে।