ক্রমেই রক্ষণশীল হয়ে উঠছে ভারত, মনে করেন অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ। এমন ভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দেশটা সৌদি আরবে না পরিণত হয়, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন, এই দেশ ক্রমেই রক্ষণশীল হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে সবথেকে প্রথমে আঘাত পড়ে মহিলাদের উপর।
সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী রত্না পাঠক বলেন, ‘মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় ছাড়া আর কিছুই বদলায়নি। সমাজ অত্যন্ত রক্ষণশীল হয়ে উঠছে। আমরা ক্রমেই কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছি। আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে ধর্মকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলতে। শিক্ষিত আধুনিক নারী তাঁদের স্বামীদের জন্য উপোস করবে যাতে তাদের আয়ু বাড়ে, এটা কি ভয়ের বিষয় নয়? ভারতীয় সমাজে বিধবা হওয়া এখনও ভয়ঙ্কর বিষয়। তাই নিজেকে বিধবা হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু করতে রাজি। একুশ শতকে শিক্ষিতা মহিলারা এসব করছে!’
আরও পড়ুন: ‘ডার্লিংস’ দেখে কেমন রিভিউ দিয়েছেন?, ‘সহজে গৌরীর কিছু পছন্দ হয়না’, বললেন আলিয়া
অভিনেত্রী আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত রক্ষণশীল সমাজের দিকে এগোচ্ছি। একটি রক্ষণশীল সমাজের প্রথম কাজ, তাঁরা নারীদের বেঁধে রাখে। পৃথিবীর যে কোনও রক্ষণশীল সমাজের দিকে তাকান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারীরা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সৌদি আরবের মহিলাদের কী সুযোগ সুবিধা আছে? আমরা কি সৌদি আরবের মতো হতে চাই? আমরা ওটাই হব কারণ ওটাই সবথেকে বেশি সুবিধাজনক।’
তিনি আর যোগ করেন, 'আমরা রক্ষণশীল হয়ে যাচ্ছি। কুন্ডলি দেখাও, বাস্তু করাও, জ্যোতিষীকে দেখাও-এর মত বিজ্ঞাপন গুলির সংখ্যা দেখুন। নিত্যানন্দের মতো মজার লোকগুলিকে দেখুন, যেন কোথাও একটা দ্বীপ পেয়েছে। প্রতিটি পাথরের নিচ থেকে প্রতিটি একক নির্বোধ, পুরানো গুরু লাফিয়ে বেরিয়ে এসেছে এবং সবাই তাঁদের কাছে ছুটে এসেছে। এটাই কি আধুনিক সমাজের লক্ষণ, আর যেখানে দাভোলকরের মতো যুক্তিবাদীকে দিবালোকে হত্যা করা হয় এবং এ নিয়ে কিছুই করা যায় না। তার বিচার এখনও চলছে এবং এ বিষয়ে কিছুই করা হবে না।'
রত্না পাঠককে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘জয়েশভাই জোরদার’ ছবিতে। পরবর্তীতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যাবে ‘হাম দো হামারে দো’ ছবিতে।