২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস। গতকালে রাতে ভারত সরকারের তরফে ঘোষণা হয়েছে পদ্ম সম্মান প্রাপকদের তালিকা। সেই তালিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। এত বড় সম্মান পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। তিনি এই পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন তাঁর প্রয়াত বাবা রবি ট্যান্ডনকে।
রবিনা ট্যান্ডন বলেছেন, ‘(আমি) সম্মানিত এবং কৃতজ্ঞ। ভারত সরকারকে অনেক ধন্যবাদ, আমার অবদান, আমার জীবন, আমার আবেগ এবং উদ্দেশ্য- সিনেমা এবং শিল্পকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, শুধুমাত্র সিনেমা শিল্পেই নয়, তার থেকই বেশি কিছুতে অবদান রাখতে চাই। সিনেমার শিল্প ও নৈপুণ্য এই যাত্রার মধ্যে যারা আমাকে পথ দেখিয়েছেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। অনেকেই এই যাত্রায় আমার পাশে ছিলেন এবং যারা আমাকে তাঁদের জায়গা থেকে দেখেছেন। আমি আমার বাবার কাছে ঋণী’।
আরও পড়ুন: অস্কারের দৌড়ে RRR, ‘কাশ্মীর ফাইলসের সঙ্গে অবশ্যই কিছু সমস্যা..’, বললেন অনুপম
W20-এ প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন রবিনা ট্যান্ডন। তার একদিন পরেই পদ্ম সম্মানের খবরটি পান অভিনেত্রী। বাণিজ্যিক ছবির পাশাপাশি অন্য ধরার ছবিতেও কাজ করেছেন রবিনা। সদ্য পা রেখেছন ওয়েব সিরিজের জগতে। ২০০১ সালে কল্পনা লাজমি পরিচালিত ‘দমন’ ছবিতে একজন নির্যাতনকারীর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে তিনি। ওই ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
১৯৭৪ সালে মুম্বইয়ে জন্ম অভিনেত্রীর। বলিউড ছাড়াও তেলুগু, তামিল, কন্নড় ও বাংলা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন রবিনা ট্যান্ডন। ‘পাত্থর কে ফুল’ (১৯৯১) ছবি দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি এবং এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান। নব্বইয়ের দশকে তিনি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ভাবে সফল ছবিতেও অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ‘দিলওয়ালে’ (১৯৯৪), ‘মোহরা’ (১৯৯৪), ‘খিলাড়িয়োঁ কা খিলাড়ি’ (১৯৯৬) এবং ‘জিদ্দি’ (১৯৯৭) ।
রবিনা ট্যান্ডন ছাড়াও এমএম কিরাবানি, তবলা বাদক জাকির হুসেন এবং গায়ক বাণী জয়রাম যথাক্রমে পদ্মবিভূষণ এবং পদ্মভূষণে সম্মানিত হয়েছেন।