রবিনা ও তাঁর দুই দত্তক সন্তান
বিয়ে না করে, গর্ভে না ধরেও সন্তানের মা হয়েছেন সুস্মিতা সেন। এনিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না, সুস্মিতার মতোই একইভাবে বিয়ের বহু আগেই সন্তানের মা হয়েছিলেন রবিনা ট্যান্ডন। দত্তক নিয়েছিলেন দুই মেয়েকে।
হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন। সালটা ছিল ১৯৯৫, মাত্র ২১ বছর বয়সে দুই মেয়ে পূজা ও ছায়াকে দত্তক নেন রবিনা। সেসময় তাঁর ওই দুই মেয়ের বয়স ছিল ১১ এবং ৮ বছর। সেসময়ও সেই দত্তক সন্তানদের নিয়ে কিছু কম আলোচনা, চর্চা, বিতর্কের মুখে পড়েননি রবিনা ট্যান্ডন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন রবিনা। তাঁর কথায়, ‘আপনি যেটাই করুন না কেন, আলোচনা, সমালোচনা হবেই। সেসময় পূজা ও ছায়াকে বলা হত আমার লুকানো সন্তান। বলা হয়েছে, ওরা আসলেই আমার গর্ভে জন্মেছে, কিন্তু আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম। আমার বয়স যখন ২১ তখন আমি ওদের দত্তক নি, আর ওদের বয়স ছিল ১১ আর ৮, তাহলে এবার বলুন, আমি ওদের জন্মটা কোন বয়সে দিতে পারি?’
আমাকে বলা হত, কে আর আমাকে বিয়ে করবে? কারণ, আমি যে পুরো গ্যাং নিয়ে থাকি। আমার মেয়েরা, বিড়াল, কুকুর। আমি বলেছিলাম, আমাকে যে ভালোবাসবে, এদেরকেও গ্রহণ করবে। অনিল থাডানি সঙ্গে যখন ডেট করা শুরু করি, তখন এই একমাত্র শর্ত ছিল যা আমার স্বামী বজায় রেখেছেন। আমি আমার পুরো গ্যাং নিয়েই ওর বাড়িতে গিয়ে উঠি।'
পূজা ও ছায়াকে দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে, রাভিনা ট্যান্ডন বলেন, ‘যখন আমি প্রাপ্ত বয়স্ক হলাম, তখন দেখি আমার তুতো ভাইয়ের সন্তানরা কীভাবে জীবনযাপন করছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, ওদের বাবা-মা বেঁচে ছিল না। তাই আমি ভাবলাম, অন্যান্য NGO-র জন্য কাজ করি, এদিকে দুটি শিশু যাঁদের আমি আমার সামনে জন্মাতে দেখেছি, তাঁদের তো আরও ভালো জীবন দিতেই পারি। তাই যে মুহূর্তে আমি ২১ বছরে হলাম, আমি ওদের আইনি অভিভাবক হয়ে গেলাম।’
প্রসঙ্গত অনিল থাডানিকে বিয়ে করার পর দুই সন্তানের জন্ম দেন রবিনা, ছেলের নাম রাখেন রণবীরবর্ধন আর মেয়ের নাম রাশা। রবিনার দত্তক দুই কন্য়া অবশ্য এখন বিবাহিত, তাঁরাও এখন মা হয়ে গিয়েছেন। এবং রবিনার সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগও রয়েছে তাঁদের।