তিনি ‘দঙ্গল কন্যা’, এই নামেই ছিল তাঁর পরিচিতি। 'দঙ্গল' ছবিতে আমির খান ‘মহাবীর সিং ফোগত’-এর মেয়ে ববিতা ফোগতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুহানি ভাটনাগর। কিশোরী বয়সের ববিতার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর শনিবার হঠাৎ আসা আমির খানের 'দঙ্গল' কন্যা সুহানি ভাটনাগরের মৃত্যুর খবরে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। মাত্র ১৯ বছরেই কীভাবে সুহানির মৃত্য়ু হল? এপ্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ডার্মাটোমায়োসাইটিসের মতো বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সুহানি।
জানা যায়, ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যেয় মৃত্যু হয় সুহানি ভাটনাগরের। তবে সুহানির চলে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে আরও তিনদিন। সোমবার সুহানি ভাটনাগরের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। পর্দার 'ববিতা'র স্মরণসভায় উপস্থিত হন আসল ববিতা ফোগাত। ববিতা নিজেই সেই স্মরণসভার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
ববিতার পোস্ট করা দুটি ছবির মধ্যে প্রথমটিতে তাঁকে প্রয়াত সুহানির ছবির সামনে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দ্বিতীয় ছবিতে সুহানির মায়ের হাত ধরে আবেগতাড়িত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে ববিতাকে। ছবির ক্যাপশানে ববিতা ফোগাত লিখেছেন, ‘দঙ্গল ছবিতে আমার কৈশোরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুহানি ভাটনাগর, ওঁর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। ওঁর শোকস্তব্ধ বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে ফরিদাবাদে ওঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওম শান্তি।’
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি সুহানি ভাটনাগরের মৃত্য়ুর খবর পেয়েও শোক প্রকাশ করেছিলেন ববিতা ফোগাত। তিনি লেখেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য, হৃদয়বিদরক, যে সুহানি ভাটনাগর দঙ্গল ছবিতে আমার শৈশবের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তিনি এত অল্প বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। এই খবর পেয়ে আমিও হতবাক। ঈশ্বর ওঁর আত্মাকে শান্তি দিন এবং ওঁর পরিবার, কাছের মানুষদের এই কঠিন সময়কে মোকাবিলা করার শক্তি দিন, ওম শান্তি।’
আমির খানের প্রযোজনা সংস্থার তরফেও এই মৃত্যুর খবর পেয়ে সুহানির পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানো হয়। সেই শোকবার্তায় লেখা হয়, ‘সুহানির মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা শোকাহত। সুহানির মা পূজাজি এবং ওঁর সমগ্র পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা রইল। এমন প্রতিভাবান তরুণী, আমাদের টিমের সদস্য, সুহানি ছাড়া দঙ্গল অসম্পূর্ণ। সুহানি, তুমি সবসময় আমাদের হৃদয়ে তারকা হয়েই থাকবে। আপনি শান্তিতে থাকুন।’
এর আগে সুহানির মৃত্যুর কারণ জানাতে গিয়ে সুহানির বাবা পুনীত ভাটনাগর বলেন, সুহানি ডার্মাটোমায়োসাইটিসের আক্রান্ত ছিলেন। গত ১১দিন ধরে তাঁর মেয়ে এইমসে ভর্তি ছিল। মাস দুয়েক আগে হঠাৎ সুহানির হাত-পা ফুলতে পারে। তখনো তাঁরা জানতেন না, এটা কোনও জটিল রোগের লক্ষণ। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সুহানির গোটা শরীর ফুলে যায়। তখনই তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রোগ নির্ণয় করা যায়নি। এরপরই তাঁকে দিল্লির AIIMS-এ ভর্তি করা হয়। সেখানেই জানা যায়, সুহানি ডার্মাটোমায়োসাইটিসের মতো বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।