তিনিই নাকি সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর জন্য দায়ী। সুশান্তের মৃত্যুর পর অভিযোগের আঙুল উঠেছিল প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁকে ‘চুড়েল’, ‘ডাইনি’ অপবাদ দেওয়া হয়েছিল, সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে-র কনক্লেভে এবিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর সাফ কথা ‘আমি পিতৃতন্ত্রের সমাজের সদস্য নই’।
যখন তাঁকে ‘চুড়েল’, ‘ডাইনি’ এধরনের অপবাদ দেওয়া হত, কী মনে হত? এমন প্রশ্নের উত্তরে রিয়া বলেন, 'চুড়েল নামটি আমার বেশ পছন্দের। চুড়েল' (ডাইনি) এটা ভীষণই ইন্টারেস্টিং নাম। সেদিন কে ডাইনি ছিল? ডাইনি এমন একজন মহিলাকে বলা হয়েছিল যিনি কখনও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সদস্য হননি। আমার নিজস্ব মতামত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে ছিল। হয়তো আমি সেই মানুষ, হয়তো আমি চুড়েল। হয়তো আমি জানি কীভাবে কালো জাদু করতে হয়'। রিয়া জানান, সুশান্তের আকস্মিক মৃত্যুর পরে তীব্র ট্রোলিং এবং মিডিয়া ট্রায়ালের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। অনেকেই তখন তাঁর মধ্যে ডাইনি খুঁজতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন।
আরও পড়ুন- একজন ৫৭ অন্যজন ৬১, তবে বোঝার উপায় কই, ‘প্রসেনজিৎই টলিপাড়ার শাহরুখ’! কী বলছেন ‘বুম্বাদা’
আরও পড়ুন-অসুস্থ পথচারী, গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় বসেই CPR দিলেন অভিনেতা গুরমিত চৌধুরী
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদককাণ্ডেও নাম জড়িয়েছিল রিয়া চক্রবর্তীর। যে কারণে জেলও খাটেন তিনি। সুশান্তকে মাদক দিতেন রিয়া, এমন অভিযোগও উঠেছিল। এবিষয়েও রিয়া চক্রবর্তী বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি মাদক নিয়ে NCB নিয়ে এবং CBI নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না।’
রিয়া বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি যখন ঘরে ঢুকি, তখন বহু মানুষের মুখে দেখতে পাই। মনে হয় লোকজন আমার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। ভাবেন, আমি কীভাবে বেঁচে আছি। আবার কেউ কেউ ভাবেন আমার এগিয়ে যাওয়া উচিত। যখন আমি মানুষের সঙ্গে কথা বলি, তখন সকলের মনের কথা শুনতে পাই। মাঝে মাঝে লোকজন আমার দিকে তাকায়, ভাবে আমিই অপরাধী। আমি এই সব চিন্তাভাবনাই অনুভব করতে পারি। এটা কি আমার কাছে সত্যিই কোন ব্যাপার? একেবারেই না।’
চারিদিকের সব পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এমন কথা কি কখনও মনে হয়নি? একথায় রিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি না যে বন্ধ শব্দটি সঠিক। আমি মনে করি না, এমন কিচু ঘটে যে সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। আসল বিষয় হল আমি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। পথ কখনওই বন্ধ হয় না। এটা শুরুতে আপনার জীবনকে গ্রাস করে তারপর আপনার জীবন এর চারপাশে বেড়ে উঠতে শুরু করে। তবে ঘটনাটা সবসময়ের জন্য জীবনে লেগেই থাকে। আপনি যখনই পিছনে ফিরে তাকাবেন, তখন সে বলবে আমি কিন্তু এখানে আছি। তবে বন্ধ কিছুই হয় না। তবে, এই ঘটনা আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে।’