‘অমর সিং চমকিলা’য় তার অভিনয়ের জন্য দর্শকদের কাছে এই মুহূর্তে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই উপভোগ করছেন পরিণীতি চোপড়া। আবার ব্যক্তিগত জীবনে রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডাকে বিয়ে করে ২০২৩ সালে পেজ থ্রির শিরোনামে ছিলেন পরিণীতি। সম্প্রতি, ইউটিউব চ্যানেলের জন্য রাজ শামানিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাঘবের সঙ্গে নিজের চমকপ্রদ প্রেমের গল্প নিয়ে কথা বলেছেন পরিণীতি।
রাঘব-পরিণীতির প্রথম দেখা কবে ও কোথায়?
স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে পরিণীতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে আমাদের দেখা হয়েছিল। তবে সেখানে আমরা শুধুই একে অপরকে হাই বলে চলে গিয়েছিলান। তারপর আমিই কেবল এগিয়ে এসে ওকে বলি,'চলো একদিন একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করি'। তখন আমরা ও আমাদের টিম মিলিয়ে প্রায় ৮-১০ জন ছিলাম সেখানে। পরের দিন ব্রেকফাস্টে আমরা দেখা করলাম। আমি তখন আদৌ জানতাম না যে তিনি কে? কী করেন। ব্রেকফাস্টের পর আক্ষরিক অর্থেই আমি ওর দিকে তাকালাম। তখনই সমস্ত কথাবার্তায় আমি ওর সমস্ত কাজ সম্পর্কে জানলাম। সেইদিনই আসলে ওর সঙ্গে প্রথম দেখা, তখনই আমি ঠিক করে ফেলি, আমি একেই বিয়ে করব।'
পরিণীতির কথায়, ‘আমি দিব্যি খেয়ে বলছি, আমি রাঘবের সঙ্গে দেখা করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ঠিক করে ফেলি যে আমি এই মানুষটিকেই বিয়ে করছি। এদিকে আমি কিন্তু তখনও জানতাম না সে আদৌ বিবাহিত! ওর সন্তান আছে কি নেই! ওর বয়স ঠিক কত? ও আমার সামনে ব্রেকফাস্ট খেতে বসেছিল, আর আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে বলি, আমার মনে হচ্ছে আমি এই লোকটাকে বিয়ে করতে চলেছি। এটা যেন আমার ভিতর থেকে বলে ওঠা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর ছিল।’
প্রসঙ্গত, এর আগে আরও এক সাক্ষাৎকারে এই একই বিষয়ে কথা বলেছিলেন পরিণীতি। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রী রাঘবের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তাঁর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে Google সার্চ করেন। পরিণীতির কথায়, ‘আমার ভাগ্য ভালো ছিল যে রাঘব ছিল সিঙ্গল।’
রাঘব-পরিণীতির বিয়ে
২০২৩-এর ২৪ সেপ্টেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডা। রাজস্থানের উদয়পুরের লীলা প্যালেসে একান্ত পরিবার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিয়ে সারেন তাঁরা। পরিণীতির বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন সম্পর্কে তাঁর জ্যেঠিমা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মা মধু চোপড়া। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে আদিত্য ঠাকরে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, মণীশ মালহোত্রা, হরভজন সিং থেকে সানিয়া মির্জার মতো ব্যক্তিত্ব বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত রাঘ চাড্ডা আম আদমি পার্টির সঙ্গে যুক্ত রাজনীতিবিদ।