১৪ ফেব্রুয়ারি নয়, তার ঠিক একদিন আগেই আসে 'রক' গায়ক রূপম ইসলামের জীবনের বিশেষ দিন। নাহ, তবে শুধুই রূপম নন, একইসঙ্গে এই বিশেষ দিনটা রূপসা দাশগুপ্তেরও। আর এই ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটা হল রূপম-রূপসা জুটির বন্ধুত্ব বার্ষিকী। এই দিনেই দুজনের একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে সেটা আজ থেকে ২০ বছর আগে।
আজও তাঁরা একে অপরের বন্ধু, তাই বিবাহবার্ষিকী নয়, প্রত্যেক বছর এই ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিই একসঙ্গে সেলিব্রেট করেন রূপম-রূপসা। এবারও তাই করলেন। ১৩ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে শহরের কোনও এক রেস্তোরাঁ থেকে ছবি পোস্ট করে রূপম লেখেন, ‘২০ বছর আমরা একসঙ্গে…’।
এর আগে ২০১৯-এ ১৫ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলার উদযাপন করে এই ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটির বিশেষত্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন রূপম। সেবার রেস্তোরাঁ থেকে স্ত্রী রূপসার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘১৪ই নয়, আমরা ১৩ই ফেব্রুয়ারি উদযাপন করি। বিশেষ দিনে বিশেষ খাবারের ডাক। ১৫ বছর (২০১৯) একসঙ্গে। অনেকেই ভাবছেন বিবাহবার্ষিকী, তবে তা নয়। বন্ধুত্বের ১৫ বছর (২০১৯)। আমাদের বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল এক সরস্বতী পুজোর দিনে, ২০০৪ এ। তারই পরিণত রূপ হল- আমাদের আজকের এই ভালবাসা।’
প্রসঙ্গত রূপম-রূপসা বিয়ে করেছিলেন ২০০৭-এর ২১ অক্টোবর। এরপর ২০১০ তাঁদের এক পুত্র সন্তান হয়, নাম রাখেন রূপ আরোহণ প্রমিথিউস। তবে রূপমের ছেলের এমন নামকরণ কেন? এনিয়ে অনেকেরই মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এবিষয়ে গায়ক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘প্রমিথিউস খুব বড় একটা চরিত্র। অন্তত আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যে কিনা ইশ্বরের সঙ্গে টক্কর দিয়েছিল। প্রমিথিউস আমার কাছে শুধু নাম নয়, চরিত্র।’ রূপম সেবার জানিয়েছিলেন, তাঁর ছেলেরও নিজের নামটি বেশ পছন্দের। তবে পরবর্তীতে ও যদি কখনও নিজের নাম পরবর্তন করতে চায়, সেটাও করতে পারে।
এদিকে চলতি বছরের শুরুতে, গানের শোয়ের পর অনুরাগীকে গালিগালাজের কারণে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন রূপম ইসলাম। যা নিয়ে কিছু কম বিতর্ক হয়নি। তবে এক্ষেত্রে স্বামীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন রূপসা। তিনিই সংবাদমাধ্যমকে ঠিক কী ঘটেছিল, সেবিষয়ে খোলসা করেন।
রূপসা জানিয়েছিলেন, ‘সেদিনের ঘটনা অত্যন্ত জঘন্য। টানা স্টেজ শোয়ের পর রূপমের শরীর খারাপ লাগছিল। একটানা এতক্ষণ পারফরম্য়ান্স। শিল্পীরও তো বিশ্রাম প্রয়োজন। ওইদিন রূপম সেই অবকাশটুকু পাইনি। সেলফি তুলতে এসে আমার উপরও চড়াও হয়েছিল ওরা। রূপম গাড়ি থেকেই নামতে পারছিল না। রীতিমতো সকলে ঘিরে ধরে, তখনই ও আর মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেনি। রি-অ্যাক্ট করে ফেলে। এটাই খুব স্বাভাবিক নয় কি? মেজাজ হারানোটাই কি খুব স্বভাবিক নয়?’