বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামনে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তাক্ত ছবি। দেখা গিয়েছিল কপালে চোট পেয়েছেন বাংলার দিদি। আর সেই খবর জানার পর থেকে বাড়ছে জল্পনা-কল্পনা। বিশেষ করে এসএসকেএম হাসপাতালের তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতি আরও বড় ধন্ধ তৈরি করেছে মানুষের মনে। এবার মমতার আঘাত লাগা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা-অভিনেতা, এক সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্রনীলের প্রশ্ন, মমতার ঘনিষ্ঠ কেউ নেই তো এই ঘটনার পিছনে? কেন কেউ হাসপাতালে ভর্তি মমতার ছবি তোলার আগে রক্ত মোছাল না? রুদ্রনীলের দাবি, একসময় মমতার বাড়িতে যাতাযাত থাকার কারণে, তিনি জানেন কে কে থাকে কালীঘাটের বাড়িতে।
আরও পড়ুন: অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পরেই ISPL-এর মাঠে অমিতাভ? ‘অপারেশনের খবর…’, জানিয়ে দিল বিগ বি
এসএসকেএমের ডাক্তার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘Within the vicinity of her home due to some push from behind’, অর্থাৎ পিছন থেকে ধাক্কা লাগার ফলে পড়ে যান তিনি। পরে অবশ্য বক্তব্যে সামান্য পরিবর্তন করে মণিময় যোগ করেন ‘ধাক্কা লাগার মতো অনুভূতি’! এবার প্রশ্ন, কেন নিজের বক্তব্য বদলালেন এসএসকেএমের ডাক্তাররা।
রুদ্রনীলের বক্তব্য, ‘মমতার বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষীরা যেমন থাকেন, তেমন দু তিনজন মহিলাও থাকেন ব্যক্তিগত কাজের জন্য। কেন কেউ মুছিয়ে দিল না রক্ত?’
আরও পড়ুন: ‘যখন আমরা সঙ্গী বাছি…’! একাধিক প্রেমিকা ছিল পরমব্রতর, জীবনের পাঠ পড়ালেন পিয়া
এরপর হাসপাতালের তরফে আসা বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে রুদ্রনীলের বক্তব্য, ‘সব কথা অনেক ভেবেচিন্তে বলা হয়েছে। এখন সবার মনেই প্রশ্ন আসছে, কেউ কি ঠেলে ফেলে দিয়েছিল। কোনও অন্তর্ঘাত? এর তদন্ত করা উচিত।’ রুদ্রনীলের দাবি, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য বললেন, ‘কারা আপনার রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে দেখুন। কেউ আপনার কপালের রক্ত মুছিয়েও দিল না? আমার তো মনে হয় আপনাকে না জানিয়েই এই ছবি দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘সাইকেলের চেন নিয়ে…’! সিরিয়ালে শয়তানি কৌশিকের, ভরা মঞ্চে মারতে এসেছিল দর্শক, গল্প শোনালেন দাদাগিরিতে
জানা যায়, বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। মমতার কেটে যাওয়া কপালের ছবি পোস্ট করে ঘটনা সকলের সামনে আনেন তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর কপালে এবং নাকে মোট চারটি সেলাই পড়েছে। দীর্ঘক্ষণ উডবার্ন ওয়ার্ডের ১২ নম্বর কেবিনে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন মমতা। তারপর ফিরে যান বাড়িতেই। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময়ও মমতার সঙ্গেই ছিলেন অভিষেক। মমতা গাড়ির সামনের আসনে বসেছিলেন।