৪৮-এ পা দিলেন রূপম ইসলাম। তবে সে তো শুধুমাত্র কাগুজে হিসেবের নিরিখে। 'রকস্টার'দের বয়স কবেই বা ছুঁতে পেরেছে। নিজের জন্মদিন নিয়ে কোনওদিনই খুব একটা মাতামাতি করা তাঁর না পসন্দ। এদিনও সকাল থেকে তিনি ব্যস্ত ছিলেন তাঁর সংগঠন ‘ব্লাড মেটস’ সহ নানা সংস্থা আয়োজিত রক্তদান শিবির নিয়ে। টাটা মেডিক্যাল হাসপাতালে হ্চলেছে এই রক্তদান শিবির। পাশাপাশি মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে একনিষ্ঠ রূপম-ভক্ত মৈনাক বণিকের উদ্যোগে চলেছে আরও একটি রক্তদান শিবির। শিল্পীর কথায়, 'আমি অভিভূত, সম্মানিত। আমার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁরা যে এই কর্মযজ্ঞ করলেন তাঁর জন্য ওঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ।' জানিয়ে রাখা ভালো, সশরীরে সেখানে পৌঁছতে না পারলেও ভার্চুয়ালি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গেছিলেন 'বার্থডে বয়'।
এদিন কিংবদন্তি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তেরও জন্মদিন। সেকথার প্রসঙ্গ উঠতেই রূপম বলেন ' হ্যাঁ, ছোট থেকেই ব্যাপারটা ভাবলে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া উনি আমার কাছে এক আদর্শ ব্যক্তিত্ব।' নিজের ফেসবুক পেজ-এ 'মধু কবি'র স্মরণে কোনও দ্বিরুক্তি না করেই রূপম লিখেছেন, কবির জীবনী পড়ে ছোটবেলায় সমানে কাঁদতেন। পাশাপাশি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শক্তিও পেতেন। স্পষ্ট করে আরও লিখেছেন, 'মনে হত, প্রচলিত সব পন্থাকে ভাঙতে হবে।' 'মধু কবি'র দ্বারা এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে তিনি নিজেও ভেবেচেইলেন তাঁর কবরের উপর লেখা থাকবে তাঁর নিজেরই লিখে যাওয়া কবিতার এপিটাফ। তাই তো মাইকেলকে মনে রেখে 'ফসিলস' গায়কের প্রথম বইয়ের নাম রেখেছিলেন 'এপিটাফ'।
জানা গেল, রূপমের স্ত্রী রূপসা এ দিন গায়ককে নতুন জামা উপহার দিয়েছেন। শাশুড়ির রান্না করা ইলিশ, চিংড়ি আর ট্যাংরা মাছ দিয়ে দুপুরের ভোজ সেরেছেন ‘বার্থ ডে বয়’। সন্ধ্যায় বাড়িতেই বসেছে জমাটি আড্ডার আসর। শিল্পীর কয়েক জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এসেছেন। গান হবে এবং তার পরে বিরিয়ানি দিয়ে রাতের জমাটি নৈশভোজ।