ভেঙে গিয়েছে সুপারহিট জুটি। এই দাবাং মিউজিক পরিচালক সাজিদ খানের হাত ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন তাঁর ছোট ভাই ওয়াজিদ খান। রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় সঙ্গীত পরিচালক ওয়াজিদ খানের। ভাইয়ের শেষকৃত্যে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন দাদা সাজিদ খান। তিনদিন পর ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে আবেগঘন পোস্ট উঠে এল সাজিদ খানের দেওয়ালে।
সাজিদ খান ভাইয়ের সঙ্গে ফ্রেবমন্দি একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করে লেখেন, আমি এই দুনিয়ায় মায়ের সঙ্গে আছি, আর ওই দুনিয়াতে বাবার কাছে আছিস। অনেক ভালোবাসা ভাই, আমার জন্নতের রকস্টার'।
কিডনিতে ইনফেকশন নিয়ে মুম্বইয়ের সুরানা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওয়াজিদ। দিন কয়েক আগেই তাঁর কিডনিতে অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। রবিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওয়াজিদ। তাঁর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ ছিল। ওয়াজিদ খানের মায়ের করোনা রিপোর্টও পজিটিভ।
ভাইয়ের স্মরণে প্রয়াত শিল্পীর শেষ মুহূর্তের ভিডিয়ো শেয়ার করলেন সাজিদ।যেখানে দেখা গেল সুরানা হাসপাতালের বিছানায় বসে মোবাইল ফোনেই অ্যাপের মধ্যে পিয়ানো বাজাচ্ছেন ওয়াজিদ।শেষ মুহূর্তেও সঙ্গীতকে আঁকড়ে রেখেছেন ওয়াজিদ খান।তাঁর মুখের হাসিটাও ছিল অমলিন। সাজিদ-ওয়াজিদের অফিসিয়্যাল পেজে এই ভিডিয়ো শেয়ার করে সাজিদ লেখেন, দুনিয়া ছেড়ে দিলি,সবকিছু ছেড়ে যেতে হল,কিন্তু তুই কোনদিনও সঙ্গীত ছাড়লি না, না তোকে কোনদিন সঙ্গীত ছেড়ে গেল। আমার ভাই কিংবদন্তি,আর কিংবদন্তিদের মৃত্যু হয় না। আমি তোকে আজীবন এমনিভাবেই ভালোবাসব।আমার খুশিতে,আমার দোয়ায়,আমার নামে তুই সর্বদা জড়িয়ে আছিস'।
বলিউডে প্রায় দু দশক দীর্ঘ সাজিদ-মিউজিক্যাল কেরিয়ার।১৯৯৮ সালে সলমন খানের প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কিয়া ছবির সঙ্গে বলিউডে সফর শুরু এই জুটির। গত বাইশ বছরে তাঁদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ নিঃসন্দেহে দাবাং সিরিজ। এছাড়াও হ্যালো ব্রাদার, তুম কো না ভুল পায়েঙ্গে, হাম তুমহারে হ্যায় সনম, তেরে নাম,গর্ব,পার্টনার,ওয়ান্টেড, থেকে এক থা টাইগার, ফ্রিকি আলি-একাধিক ছবির সঙ্গীতের দায়িত্বভার সামলেছেন এই দাদা-ভাইয়ের জুটি। আগামীতে একার হাতেই সবটা সামলাতে হবে সাজিদকে!