বক্স অফিসে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না সলমনের! টাইগার ৩ সন্তোষজনক ফল করেছে ঠিকই কিন্তু পাঠান, জওয়ান বা গদর ২-এর সামনে ফিকে টাইগারের গর্জন। তা সত্ত্বেও এ কথা অস্বীকার করার জো নেই দেশের বক্স অফিসে সবচেয়ে বেশি ১০০ কোটির ছবির মালিক ভাইজান। বলিউডের সুপারস্টারদের তালিকায় একদম উপরে রয়েছে সল্লু মিঁয়ার নাম।
আশ্চর্যজনকভাবে নিজকে সুপারস্টার হিসাবে দেখতে না-রাজ অভিনেতা নিজে। সলমনের সোয়্যাগে ফিদা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী অথচ নায়ক বলেছেন, তাঁর মধ্যে ‘সুপারস্টারসুলভ কোনও ব্যাপার নেই’। সাক্ষাৎকারে ভাইজান অকপটে বলেন, ‘আমার কোনওদিন মনে হয়নি আমি একজন সুপারস্টার। আমার মধ্যে সুপারস্টারসুলভ কোনও অভ্যাস নেই। আমি যেভাবে ট্রাভেল করি, যেমন পোশাক-আশাক পরি বা কথা বলি সেটা তো সুপারস্টারের মতো নয়। আমার মনে হয় না সলমন খান একজন সুপারস্টার। পুরোটাই বু**ট। আমি রোজ সকালে উঠে এক কাপ কফিতেই সন্তুষ্ট। শুধু নিজের সেরাটা দিতে চাই'। আফসোসের সুরে বলেন, গত ২৫-২৬ বছরে কখনও বাইরে ডিনার করতে যাননি তিনি।
ডিজাইনার পোশাকে দেখাই যায় না ভাইজানকে। বলিউডের পার্টি হোক বা অ্যাওয়ার্ডের রেড কার্পেট অনেক সময়ই ক্যাজুয়াল পোশাকেই পৌঁছে যান সলমন। সেই নিয়ে তাঁর কোনও ছুৎমার্গ নেই।
টাইগার ফ্রাঞ্চাইসির তিন নম্বর ছবি টাইগার ৩। ২০১২ সালে এক থা টাইগারের সঙ্গে শুরু হয়েছিল এই সফর। যশরাজ স্পাই ইউনিভার্সের প্রথম ছবি সেটি। সলমনের সঙ্গেও যশরাজের প্রথম কাজ। ভাইজানের কথায়, ‘আমার ফার্ম হাউসে আমি চিত্রনাট্যটা শুনেছিলাম। প্রথম সারাংশ, তারপর গোটা স্ক্রিপ্ট। শুনেই ভালো লেগেছিল। আমার প্রথম ছবি যশ রাজের সঙ্গে, আমাদের বাবারা খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন’। যশ রাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়া। প্রয়াত পরিচালক-প্রযোজক যশ চোপড়ার সুপুত্র তিনি। সেলিম খান ও যশ চোপড়ার বন্ধুত্বের কাহিনি কারুর অজানা নয়।
বক্স অফিসের রিপোর্ট বলছে মুক্তির প্রথম সপ্তাহে দেশের বক্স অফিসে মোট ১৮৭.৬৫ কোটি টাকার বিজনেস করেছে টাইগার ৩। যার অধিকাংশই এসেছে হিন্দি মার্কেট (১৮৩ কোটি টাকা) থেকে। ১২ দিনে দেশের বক্স অফিস ২৫০ কোটি টাকার গণ্ডি পার করতে সফল হয়েছে এই ছবি।
টাইগার ৩-র সঙ্গে ৬ বছর পর অবিনাশ রাঠোর ওরফে ভারতীয় গুপ্তচর টাইগারের চরিত্রে ফিরেছেন সলমন। সঙ্গী 'জোয়া' ক্যাটরিনা। ভিলেনের ভূমিকায় রয়েছেন ইমরান হাশমি। পরিচালকের আসনে মণীশ শর্মা।