২০২৩ সালে দিওয়ালির সময় হিট দিয়েছিলেন সলমন খান ‘টাইগার ৩’। অনেকদিন পর বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিলেন সলমন। সুপারস্টার ধর্মা প্রোডাকশনের সঙ্গে পরবর্তী প্রকল্প ঘোষণা করে ফেলেছেন তিনি ইতিমধ্যেই। ছবির নাম ‘দ্য বুল’। ২৯ ডিসেম্বর মুম্বইতে আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটির শুটিং শুরু হয়। এখন সলমন খান দ্য বুলে তাঁর চরিত্রের জন্য নিচ্ছেন কড়া প্রশিক্ষণ।
সলমনকে ফের বড় পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। এক সূত্রের মতে, একটি সূত্রের মতে, সলমন খানকে তাঁর আসন্ন ধর্ম প্রোজেক্টে ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে হওয়া অপারেশন ক্যাকটাসের নেতা ব্রিগেডিয়ার ফারুক বালসারা-র চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
ফেব্রুয়ারিতে শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সলমন খান তাতে আধা সামরিক অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। ব্রিগেডিয়ার বালসারার চরিত্রটিকে পর্দায় সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে শারীরিক কসরতের পরিমাণ বাড়িয়েছেন ভাইজান। প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা চলছে এই কড়া ট্রেনিং। শুধু তাই নয়, বড় বদল আনা হয়েছে অভিনেতার ডায়েট চার্টেও।
৩ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে হওয়া এই অপারেশনে গায়ুম সরকারকে বাঁচিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই সামরিক অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ক্যাকটাস’। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী মলদ্বীপ সরকারকে বাঁচাতে আকাশ ও জলপথে শুরু করেছিল সেনা অভিযান। সেই সময় প্রেসিডেন্ট গায়ুমের বিরুদ্ধে ওঠা এই সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন মলদ্বীপের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আবদুল্লা লুতিফি। ভারতীয় সেনার অভিযানে বন্দি হয়েছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার তামিল জঙ্গিগোষ্ঠী ‘প্লট’ (পিপলস লিবারেশন অর্গানাজেশন অফ তামিল ইলম)-এর নেতা উমা মহেশ্বরণের সঙ্গে বুদ্ধি করে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল লুতিফি। আর ভারতের তরফে হওয়া এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিল ব্রিগেডিয়ার ফারুক বালসারা এবং কর্নেল সুভাষ জোশী।
দ্য বুলের পরিচালনা করবেন বিষ্ণু বর্ধন। করণ জোহর সলমনের জন্মদিনে একটা লম্বা পোস্ট দিয়েছিলেন। যাতে লিখেছিলেন, ‘শুভ জন্মদিন সলমন! তোমার জন্য সর্বদা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রয়েছে… আর ২৫ বছর পর (শেষ কাজ ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে) আমরা আবার একটা গল্প পেয়েছি একসঙ্গে বলবার জন্য… আর বেশি কিছু বলব না, শুভ জন্মদিন’।