কন্নড় অভিনেত্রী দিব্যা স্পন্দনা ওরফে রম্যার মৃত্যুর ভুয়ো খবরে বুধবার সকাল থেকেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। অবশেষে জানা গেল আসল খবর। একদম সুস্থ রয়েছেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে জেনেভাতে রয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে স্পন্দনার, এমনই ফেক নিউজ ছড়িয়ে পড়ে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে। তারপর থেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনুরাগীরা। অনেকেই শোকপ্রকাশ করতে থাকেন। আগুন গতিতে ছড়িয়ে পড়ে অভিনেত্রীর মৃত্যুর ভুয়ো খবর। আরও পড়ুন-নুসরতের পর ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ইডি-র তলব আরও এক নায়িকাকে! কে এই রূপরেখা?
পরবর্তীতে ‘দ্য নিউজ মিনিট’-এর প্রতিনিধি ধন্য রাজেন্দ্র টুইট করে জানান- দিব্যার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে তাঁর। এই মুহূর্তে জেনেভাতে রয়েছেন অভিনেত্রী। এরপরই ভুয়ো খবর নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ধন্য, যাচাই না করে সে সব সংবাদমাধ্যম এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছন তাদেরও একহাত নেন সাংবাদিক।
স্যান্ডেলউডের ‘সোনার মেয়ে’ নামে পরিচিত দিব্যা স্পন্দনা। এই মুহূর্তে জেনেভাতে ছুটি কাটাচ্ছেন তিনি। সেই ঝলকও সোশ্যালে সম্প্রতি শেয়ার করে নিয়েছিলেন ৪০ বছর বয়সী নায়িকা। ছবিতে কালো স্নানপোশাকে সমুদ্রে ধরা দিয়েছিলেন দিব্যা স্পন্দনা। বুধবারও জেনেভার ডায়েরির ঝলক ইনস্টা স্টোরিতে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।
খবর, আগামিকালই বেঙ্গারুলুতে ফিরবেন দিব্যা, তার আগেই সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবর। ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে ২০ বছর পার করে ফেলেছেন রম্যা ওরফে দিব্যা স্পন্দনা।
কন্নড় অভিনেতা বিজয় রাঘবেন্দ্রর স্ত্রী, স্পন্দনা অভিনেত্রীর নেমশেক। গত মাসেই ব্যাংককে ছুটি কাটাতে গিয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতার স্ত্রীর। দুজনের নামের মিল থাকার জেরেই হয়ত ছড়িয়ে পড়েছে অভিনেত্রী স্পন্দনার মৃত্যুর গুজব, ধারণা অনেকের।
২০০৩ সালে ‘অভি’ ছবির সঙ্গে অভিনয় কেরিয়ার শুরু হয়েছিল রম্যার। নায়ক ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা পুনিত রাজকুমার। সেই শুরু, এরপর ‘অমৃতাধারে’, ‘জাস্ট মাথ মাথালি’, ‘সঞ্জু ওয়েডস গীতা’, ‘আরিয়ান’-সহ অজস্র জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন স্পন্দনা। পুনিত রাজকুমারের সঙ্গে তাঁর জুটি আলোড়ন তুলত স্যান্ডেলউডে। দু-বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন, হাতে এসেছে অজস্র সম্মান।
পর্দার বাইরে রাজনীতির ময়দানেও একসময় ঝড় তুলেছেন এই সুন্দরী। কংগ্রেসের টিকিটে উপনির্বাচনে জিতে ২০১৩ সালে সাংসদ হয়েছিলেন স্পন্দনা। ২০১৪-র নির্বাচনে অবশ্য মাত্র ৫,৫০০ ভোটের ব্যাবধানে হেরে যান স্পন্দনা। পরবর্তীতে জাতীয় কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধানের দায়িত্বভারও সামলেছেন।