চর্চায় শোয়েব-সানিয়া। পাক অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। তৃতীয় বেগম হিসাবে ঘরের মেয়েকেই পছন্দ করেছেন শোয়েব। এদিকে শোয়েবের বিয়ের দিনই জানা যায়, টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ‘খুলা’ (খুলা হল শরিয়ত আইন মেনে মুসলিম মহিলারা নিজ উদ্যোগেই স্বামীর থেকে আলাদা হতে পারেন) দিয়েছেন শোয়েবকে। প্রসঙ্গত, শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদের গুঞ্জন অবশ্য বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। ২০২২ থেকেই শোয়েব-সানিয়াকে সেভাবে একসঙ্গে আর দেখা যায়নি।
এদিকে শুধু এদেশে নয়, শোয়েবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে চর্চা চলছে পাকিস্তানেও। সেদেশের সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে লেখালিখি শুরু হয়েছে।
অখুশি শোয়েব মালিকের পরিবার'
পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শোয়েব মালিকের তৃতীয় বিয়েতে শোয়েবের পরিবারের কেউই নাকি উপস্থিত ছিলেন না। পাকিস্তান ডেইলি জানিয়েছে, টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শোয়েবের বোনরা। পাক সংবাদমাধ্যমটি আরও দাবি করেছে, শোয়েব মালিকের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন মির্জা। এমনটাই নাকি বলছেন খোদ শোয়েবের বোনেরাই।
যদিও মালিকের বোনেরা কেউই ক্রিকেটারের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন-ঋতুমতী হওয়ার পর ভাইয়ের থেকে লুকিয়ে প্যাড ফেলতে গিয়েছিলেন, সুশান্ত সেদিন বলেন…অকপট শ্বেতা
সানিয়া-শোয়েবের বিচ্ছেদ
শোয়েবের পরিবারের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘এটা খুলা। এর বাইরে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। খুলা একজন মুসলিম নারীর একতরফাভাবে তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার অধিকার।’
প্রসঙ্গত, ২০১০-এর এপ্রিলে ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় নিজের শহর হায়দরাবাদে পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে নিকাহ করেছিলেন। তারপর থেকে ১ বার কিংবা ২বারই পাকিস্তানে গিয়েছেন সানিয়া। বিয়ের পর সানিয়া-শোয়েব একসঙ্গে থাকলে সাধারণত ভারতে কিংবা দুবাইতেই থাকতেন।
সানিয়া মির্জা
এদিকে বছর ৩৭-এর সানিয়া মির্জার সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অনুরাগীদের অনুমান তিনি শোয়েবের থেকে আলাদা হওয়া ও প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের খবরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। প্রায় এক সপ্তাহ আগে, ইনস্টাগ্রামে আয়নার সামনে চোখ বন্ধ রেখে একটা ছবি পোস্ট করেছিলেন সানিয়া। সঙ্গে লেখেন, ‘যখন কিছু আপনার হৃদয়ের শান্তি বিঘ্নিত করে, তখন সেটাকে ছেড়ে দিন’। দু'দিন আগেও তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মনের মধ্যে চলা অশান্তির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
সানিয়া লিখেছিলেন, ‘বিয়ে কঠিন, ডিভোর্সও কঠিন। নিজের জন্য কোন কঠিনটা বাছবেন, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত…, ঋণগ্রস্ত থাকা কঠিন, স্বনির্ভর হওয়াটাও কঠিন। যোগাযোগ রাখাও কঠিন, না রাখাটাও কছিন। আসলে জীবনে কোনও কিছুই সহজ নয়। সবটাই কঠিন। কিন্তু আমরা কোন কঠিনটা বাছব, সেটা আমাদের ব্যাপার। নিজের মতো করে কঠিনটা বাছুন… ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন’।