পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে! শাহরুখ খানকে দেখলে সে কথায় বারবার মনে হয়। রোম্যান্সের মামলায় ৫৭ বছরের শাহরুখ আজও ২১-এর তরুণ। বয়স শুধু একটা সংখ্যা তাঁর কাছে। সোমবার মুক্তি পেল ‘জওয়ান’ ছবির দ্বিতীয় গান ‘চলেয়া’। গানের দৃশ্যায়ন জুড়ে শাহরুখের ম্যানারিজম থেকে চোখ ফেরানো দায়! নয়নতারার সঙ্গে তাঁর রসায়ন ভীষণরকম ‘রিফ্রেশিং’। আরও পড়ুন-অরিজিতের গানে রোম্যান্সে বুঁদ শাহরুখ-নয়নতারা! প্রকাশ্যে জওয়ান-এর ‘চলেয়া’র ঝলক
এই গানের অন্যতম ইউএসপি অরিজিৎ সিং-এর কন্ঠ। ‘ঝুমে জো পাঠান’-এর পর আবারও শাহরুখের ছবিতে অরিজিতের গান। এবারও জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্রের সুরেলা কন্ঠ ঘায়েল করল ভক্তদের। শাহরুখ-নয়নতারার রোম্যান্স যেন আরও গাঢ় হল অরিজিৎ সিং ও শিল্পা রাও-এর সুরের মূর্ছনায়। ‘জওয়ান’-এর মিউজিকের দায়িত্বভার সামলেছেন অনিরুদ্ধ রবিচন্দর। গানের গীতিকার কুমার। চলেয়া-র নৃত্য পরিকল্পনার দায়িত্বে শাহরুখের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ফারহা খান।
‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’, ‘জালিমা’ থেকে ‘ঝুমে জো পাঠান’, অরিজিতের গানে শাহরুখ যখনই ঠোঁট মিলিয়েছেন, সেই গান চার্টবাস্টার প্রমাণিত হয়েছে। এবারও সেই ইঙ্গিত মিলল মাত্র কয়েকঘন্টাতেই। তিন ঘন্টাতেই ইউটিউবে ‘চলেয়া’-র ভিউ সংখ্যা ২৭ লক্ষ পার করেছে। একটা সময় শাহরুখের লিপে গান মানেই ছিল অভিজিৎ ভট্টাচার্যের কন্ঠ। আর ধীরে ধীরে শাহরুখের কণ্ঠ হিসাবে সঙ্গীত পরিচালকদের পছন্দের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন অরিজিৎ সিং। গানের টিজার শেয়ার করে শাহরুখ অরিজিৎ-কে নিয়ে জানান- ‘তোমার কন্ঠ আমাকে আবারও ভালোবাসতে শেখায়’।
গানের কথায়, সুরে মিলে মিশে একাকার চিরন্তন ভালোবাসার আখ্যান। গানের হিন্দি ভার্সনের শুরুতেই শোনা গেল- ‘ইশক মে দিল বানা হ্যায়… ইশক মে দিল ফনহা হ্যায়…’। অর্থাৎ যে ভালোবাসা হৃদয় তৈরি করে, সেই ভালোবাসাতেই হৃদয় বিলীন হয়ে যায়। এই গানের তামিল ও তেলুগু ভার্সনের শিরোনাম, ‘চালোনা’ এবং ‘হায়োডা’।
সম্প্রতি টুইটারে #AskSRK সেশনে বাদশা জানিয়েছেন ‘জওয়ান’ ছবিতে ‘চলেয়া’- তাঁর সবচেয়ে পছন্দের গান। শাহরুখ জানান, ‘এই গানটা একদম আমার মতো, রোম্যান্টিক, মিষ্টি আর নম্র'।
আগামি ৭ই সেপ্টেম্বর হিন্দি, তামিল ও তেলুগু ভাষায় মুক্তি পাবে অ্যাটলি পরিচালিত এই ছবি। এই প্রথমবার নয়নতারার সঙ্গে রোম্যান্স করতে দেখা যাবে শাহরুখকে। দিন কয়েক আগে অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছে জওয়ান ছবির একাধিক দৃশ্য। শাহরুখের আগামী ছবির এই ক্লিপ ‘X’ (অতীতে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। এরপরই ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট অনুযায়ী কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করার জন্য প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্টের তরফে পাঁচজন ‘X’ ইউজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেইমতো তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মাইক্রো ব্লগিং সাইটের তরফে সেগুলো সব সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপতত মামলা দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন।