পাকিস্তানের হাতে পরমাণু বোমা আছে। তাই পাকিস্তানকে সম্মান প্রদান করা উচিত। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মণিশংকর আইয়ার এমনই মন্তব্য করেছেন বলে একাধিক ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করলেন নেটিজেনদের একাংশ। যে ভিডিয়োয় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ভারতের মতোই পাকিস্তানের হাতে পরমাণু বোমা আছে। তাই ‘পেশিশক্তি’-র প্রদর্শন করে কোনও লাভ নেই। বরং আলোচনার মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের পক্ষে সওয়াল করেছেন আইয়ার। কিন্তু শেষ ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সেই কাজটা করা হয়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
প্রাথমিকভাবে অঙ্কুর সিং নামে এক ব্যক্তির (নামের পাশে মোদী কী পরিবার লেখা আছে) পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে আইয়ার বলছেন, ‘ওরাও (পাকিস্তান) একটি সার্বভৌম দেশ। ওদেরও (পাকিস্তান) মান-সম্মান আছে। সেই সম্মানটা বজায় রেখে আপনি ওদের সঙ্গে যত ইচ্ছা কড়া ভাষায় কথা বলুন। কিন্তু কথা তো বলুন। বন্দুক নিয়ে ঘুরছেন আপনি। তাতে কী সমাধানসূত্র মিলেছে? কিছু মেলেনি। সংঘাত বেড়ে যায়। আর কোনও পাগল যদি ওখানে চলে আসে, তাহলে কী হবে দেশের? ওদের কাছে পরমাণু বোমা আছে। আমাদের কাছেও আছে।’
ওই ভিডিয়োয় আইয়ারকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘কিন্তু কোনও পাগল যদি লাহোর স্টেশনে আমাদের (ভারত) হাতে থাকা বোমা ফেলে দেয়, তাহলে আট মিনিটের মধ্যে ওদের যে রেলওয়ে কার্যকলাপ আছে, তা অমৃতসরে পৌঁছে যাবে। (নিজেদের কাছে) এরকম বোমা রাখুন, যাতে ওদেরকে সেটা ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখা যায়। কিন্তু ওদের সম্মান দিলে তবেই ওরা নিজেদের বোমার বিষয়ে ভাববে না। কিন্তু আপনি যদি ওদের ফিরিয়ে দেন এবং বাচ্চাদের মতো কথা বলেন, তাহলে কোনও পাগল এসে গেলে বোমা ফেলে দেবে। তখন দেশের কী হবে?’
পালটা যখন আইয়ারকে প্রশ্ন করা হয় যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘পেশিশক্তি’ প্রদর্শনের নীতি কাজ করবে কিনা, তখন তাঁকে ওই ভিডিয়োয় বলতে শোনা যায়, ‘পেশিশক্তি’ প্রদর্শনের নীতি তখনই কাজ করে, যখন অপর দেশের ‘পেশিশক্তি’ থাকে না। পাকিস্তানের ‘পেশিশক্তি’ কাহুতায় পড়ে আছে। কোনও কারণে গুজব ছড়িয়ে পড়লে সমস্যা হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে আইয়ারকে।
সেখানেই থামেননি আইয়ার। অপর একটি ভিডিয়োয় আইয়ারকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনার (নরেন্দ্র মোদী সরকার) সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার সাহস আছে। কিন্তু ওদের (পাকিস্তান) সঙ্গে কথা বলার সাহস নেই। ১০ বছর ধরে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসিনি। কেন? কারণ (বলা হচ্ছে যে) সন্ত্রাসবাদী। আরে ভাই, সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার আলোচনার প্রয়োজন আছে। নাহলে তো ওরা বলবে যে এরা তো আমাদের শত্রু, আর অহংকার করে আমাদের ছোট দেখাতে চাইছে না, তাহলে কেন (ভারতে) জঙ্গি পাঠাব না? এই যে বিজেপি বলে, আলোচনা এবং সন্ত্রাসবাদ একইসঙ্গে চলতে পারে না, (সেটার কোনও মানে নেই)। যদি আলোচনা করেন, তবেই সন্ত্রাস বন্ধ হবে।’
আরও পড়ুন: Pakistan: ‘পাকিস্তান চুড়ি পরে না,’ বলেছিলেন ফারুক, পালটা ধুয়ে দিল বিজেপি