ডার্লিংস, দিল্লি ক্রাইম, দিল ধরকনে দো-র মতো সিনেমা দিয়ে দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী শেফালি শাহ। বিভিন্ন ধরনের ছকভাঙা চরিত্রে তাঁর অভিনয়, বরাবারই বিষ্মিত করে দর্শকদের। তবে ব্যক্তিগত জীবনে কম ওঠাপড়ার মুখে পড়তে হয়নি। একটা সময় ধারণা হয়ে গিয়েছিল, সব পুরুষই বুঝি খারাপ!
টিভি অভিনেতা হর্ষ ছায়াকে বিয়ে করেন শেফালি। তবে চার বছরের মধ্যে সেই বিয়ে ভেঙে যায়, তিক্ততার সঙ্গেই আলাদা হন তাঁরা। তবে এরপর সিনেমার বিখ্যাত প্রযোজক বিপুল শাহাকে বিয়ে করেন শেফালি।
শেফালির অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৯৫ সালে রঙ্গিলা সিনেমা দিয়ে। খুব ছোট্ট একটা চরিত্র হলেও, তাঁর উপস্থিতি ও দুর্দান্ত অভিনয় জিতে নেয় দর্শকের মন। এরপর সত্যা সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। আর এই সময়তেই টিভি অভিনেতা হর্ষ ছায়া-র প্রেমে পড়েন তিনি। কিছু বছর প্রেমের পর বিয়ে করেন ১৯৯৭ সালে।
তবে বিয়ের পর থেকেই সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে হর্ষ আর শেফালির। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘ওই সম্পর্ককে আমি আমার জীবনের অনেকটা দিয়েছিলাম। আমি একটা সময় ভাবতাম বিয়ে চিরন্তন! কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম এটা শুধুই একটা ধারণা। তোমার জীবনে কার্যকর নাও হতে পারে।’
তবে ফের জীবনে প্রেম আসে শেফালির। ২০০০ সালে প্রযোজক বিপুল শাহ-র সঙ্গে বিয়ে করেন। শেফালি জানান, বিপুলকে বিয়ে করা পুরুষদের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিল। একটা ‘খারাপ বিয়ে’র পর শেফালির মনে প্রশ্ন হত, ‘আমার মনে হত সব পুরুষই বুঝি এরকম!’
শেফালি আর বিপুলের বিয়ের ২২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁদের দুই ছেলে--মার্য আর আর্যমান।
শেফালি জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিয়ের পর বিপুলের পরিবারের তরফে তাঁর কাজ করা নিয়ে একাধিক বক্রোক্তি করা হত। স্বামীকে কেউ প্রশ্ন না করলেও, তাঁকে শুনতে হত ‘তোমাকে আজকেও শ্যুটে যেতে হবে?’ কিংবা ‘এতক্ষণ ধরে কী কাজ চলছিল…’! শেফালিকে অবাক করত কীভাবে পরিবার বাড়ির ছেলেকে এই প্রশ্ন না করলেও, বউকে করে। যদিও এগুলোকে ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলতে দেননি তিনি।