বারবরী সাহসী অবতারের জন্য পরিচিত অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া। মাসখানেক আগেই পরিচালক সাজিদ খানের উপর এলেছিলেন যৌন হেনস্থার অভিযোগ। দাবি তুলেছিলেন তাঁকে ‘গোপনাঙ্গ দেখিয়েছে’ ফারহা খানের ভাই। সেই সময় বিগ বসের ভিতরে থাকা সাজিদকে নিয়ে কম কাদা ছোড়াছুড়ি হয়নি। ফের একবার নাম না করে কোনও এক পরিচালকের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গেল শার্লিনকে।
খুব জলদিই ওটিটি-তে দেখা যাবে শার্লিনকে The Majesty Continues: Paurashpur 2-তে মহারানি স্নেহলতার চরিত্রে। তার আগে বিস্ফোরক উক্তি করে খবরে এলেন তিনি। গত কয়েকবছর ধরে সেভাবে সিনেমায় দেখা যায়নি তাঁকে। যার কারণ জানিয়ে শার্লিন বলেন, পরিচালকদের থেকে অশালীন প্রস্তাব পাওয়ার কথা।
শার্লিন জানান, ‘এমন বহু পরিচালক দেখেছি যারা জানতে চাইত আমার স্তনে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে কি না। মিথ্যে বলার কারণ ছিল না। সবাই জানে আমি এটা করেছি। ওই ছোট বুক দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। তারপর তারা আমার থেকে আমার ব্রেস্টের কাপ সাইজ কত জানতে চাইত। স্তন ধরে দেখতে চাইল। আমি ভাবলাম, একজন অভিনেত্রীর কাপ সাইজ সম্পর্কে জানতে পারলেই কি মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যাবে?’
শার্লিন জানান এরকমই এক পরিচালককে তিনি ওই জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আপনি বিবাহিত? তাহলে তো আপনি অবশ্যই একজন মহিলার শারীরিক নানা অস্থান সম্পর্কে জানেন।’ যাতে ওই ব্যাক্তি অভিনেত্রীকে জানান, তিনি খাতায় কলমে বিবাহিত হলেও স্ত্রীর থেকে আলাদা থাকেন। বহুদিন তাঁদের কোনও সাক্ষাৎই হয় না।
শার্লিন বরাবরই নিজের শর্তে বাঁচতে ভালোবাসেন। এই সক্ষাৎকারেই বলে বসেন, ‘সঙ্গম’ তাঁর খুবই প্রিয়। আর টাকার জন্য অনেকের শয্যাসঙ্গীও হয়েছেন। তবে সেটা অতীতে। অভিনেত্রীর মতে, ‘এখন আর টাকা দিয়ে সেক্স’ করার সুবিধে তিনি দেন না।
প্রসঙ্গত, শার্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রার হটশটস অ্যাপের হয়ে ‘পর্ন ছবিতে অভিনয় করার’। ‘রাজ কুন্দ্রা’ পর্ন কেসে শার্লিনের বয়ানও রেকর্ড করে মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ২০২১ সালে কম জলঘোলা হয়নি। তখন অবশ্য রাজের উপর অভিযোগ এনে শার্লিন থানায় অভিযোগ করেন, রাজ কুন্দ্রা তাঁর সঙ্গে জোর করে ঘনিষ্ঠ হওয়ার, তাঁকে চুমু করার চেষ্টা করেছিল। নিজেকে বাঁচাতে সেই সময় বাথরুমে আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে।
আরও অভিযোগ তুলে সেই সময় দাবি করেন, ভারতে পর্ন যে আইনত নিষিদ্ধ সে ব্যাপারে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। রাজ কুন্দ্রা তাঁকে ভুল বুঝিয়েছেন। শার্লিনের আরও দাবি, রাজ নিজের ব্যবসার খাতিরে আরও অনেক মেয়েকেই এই ভুল বুঝিয়েছেন। তাঁদের সকলের উচিত এগিয়ে এসে রাজের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া।
পরবর্তীতে রাজ-শিল্পা শার্লিনের নামে মানহানির মামলা করলে এই ব্যাপারটা অনেকটাই ধামাচাপা পড়ে যায়।