বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > মাত্র ৩০০০ টাকা মাইনে! ভাই অভিষেকের থেকে টাকা ধার নিতেন বচ্চন কন্যা

মাত্র ৩০০০ টাকা মাইনে! ভাই অভিষেকের থেকে টাকা ধার নিতেন বচ্চন কন্যা

অকপট শ্বেতা

বিয়ের পর মুম্বই থেকে দিল্লি পৌঁছে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষিকার কাজ শুরু করেছিলেন শ্বেতা, সেখানেই নাকি মাত্র ৩০০০ (তিন) হাজার টাকা মাইনের চাকরি করতেন তিনি।

বচ্চন খানদানের অংশ হয়েও শোবিজ দুনিয়া থেকে নিজেকে দূরেই সরিয়ে রেখেছেন শ্বেতা নন্দা বচ্চন। বাবা-মা'র পদচিহ্ন অনুসরণ করে বলিউডে নিজের কেরিয়ার গড়েননি শ্বেতা। দিল্লির নামী ব্যবসায়িক পরিবারের বহুরানি শ্বেতা। সম্প্রতি মা জয়া বচ্চনের সঙ্গে মেয়ে নভ্যার অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন শ্বেতা। সেখানেই টাকাপয়সার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে অকপটে মুখ খুললেন জয়া ও শ্বেতা। নভ্যার পডকাস্ট ‘হোয়াট দ্য হেল নভ্যা’তে মা এবং দিদিমা দুজনেই মন খুলে জবাব দিলেন সব প্রশ্নের।

শ্বেতা অনুষ্ঠানের ফাঁকে জানান, বিয়ের পর মুম্বই থেকে দিল্লি পৌঁছে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষিকার কাজ শুরু করেছিলেন। ব্যবসায়ী নিখিল নন্দার স্ত্রী এদিন মা তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চনকে দোষারোপ করে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে তুমি আমাদের শেখাওনি কীভাবে টাকা-পয়াসা ব্যবহার করতে হয় সঠিকভাবে’। শ্বেতা আরও জানান কলেজ ও স্কুলজীবনে ভাই অভিষেকের থেকে হামেশাই টাকা ধার ছিলেন তিনি।

শ্বেতার কথায়, ‘টাকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব খারাপ। আমি অভিষেকের থেকে টাকা ধার করে শুধু খাবার কিনতাম, আর খেতাম। আমাকে কখনও শেখানো হয়নি এইসব খরচ কী করে ম্যানেজ করতে হয়নি। এরপর আমি বিয়ে করে দিল্লিতে যাই। আমি একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে সহশিক্ষিকা যোগ দিই। সেখানে যতদূর মনে পড়ছে আমি ৩০০০ টাকা বেতন পেতাম। সেটা ব্যাঙ্কে জমা দিতাম’।

শ্বেতা এখন একজন সফল লেখিকা এবং উদ্যোক্তা। তবুও আজও নিজের ব্যবসার লাভ-ক্ষতির হিসাব করেন না শ্বেতা। এমনকি বাড়ির খরচা-পাতিরও কোনও হিসাব রাখেন না শ্বেতা, সব দায়িত্ব রয়েছে মেয়ে নভ্যার ঘাড়ে। শ্বেতার কথায়, ‘আমি চাই না আমার ছেলেমেয়ে আমার মতো হোক। আমি খুব খুশি যে তোমারা এই ব্যাপারটা নিয়ে ওয়াকিবহাল’।

এই পডকাস্ট চলাকালীন সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধরণা নিয়েও ক্যামেরা নিয়ে আলোচনা করেন তিনজনে। খুব অল্প বয়স থেকে সফলভাবে নিজের সংসার সামলালেও মেয়েরা টাকা-পয়সা ম্যানেজ করতে পারে না, সমাজের এই ধরণাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেন তিনজনেই।

 

বন্ধ করুন