বলিউডের অন্যতম জাঁদরেল ভিলেন তিনি। দীর্ঘ তিন দশকের কেরিয়ারে একাধিক চরিত্রের জন্য দর্শক মনে রেখেছে তাঁকে। ১৯৯৩ সালে ‘পরম্পরা’ ছবির সঙ্গে হিন্দি সিনেমার সফর শুরু মুকেশ ঋষির। তারপর থেকে ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ বচ্চন, সানি দেওল-সহ অজস্র তারকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি। তবে এত বছরেও বলিউডে তাঁর বন্ধুর সংখ্যা হাতে গোনা। যদিও সিনিয়র এবং সহকর্মীদের প্রতি অসম্ভব শ্রদ্ধাশীল তিনি।
৬৭ বছর বয়সী অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানান, কাজ শেষে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়াটা তাঁর পোষায় না। বরং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেই স্বচ্ছন্দ তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি এখনও সেই লেবেলে পৌঁছাইনি যেখানে কোনও তারকাকে আমি নিজের বন্ধু বলব, তবে আমি সকলকে শ্রদ্ধা করি’।
এই প্রসঙ্গেই অভিনেতা সোহেল খানের এক অজানা কীর্তি ফাঁস করেন মুকেশ। খান পরিবারের দিলদরিয়া স্বভাব কারুর অজানা নয়। সলমন খানের মতোই তাঁর ভাইয়েরাও প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ান। কখনও কখনও আগবাড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। মুকেশ বলেন, ‘একবার আমার ছেলে এক রেস্তোরাঁয় গিয়েছিল বন্ধুদের নিয়ে। ওরা খাচ্ছিল। সোহেল জানতে পারে ও আমার ছেলে। চুপিসাড়ে ওদের খাবারের বিল মিটিয়েছিল সে। এগুলো বন্ধুত্বের চেয়ে কম বড় পাওনা নয়, তাই না?’
অভিনেতা যোগ করেন, প্রবীণ প্রজন্মের সুপারস্টারদের সঙ্গে কাজের সুযোগ তাঁর কাছে সৌভাগ্যের। ধর্মেন্দ্রর কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ বলিউডের এই ভিলেন। জানান, ‘আমি কী করবে বলব ধরমজি আমার বন্ধু? আমি ওঁনাকে শ্রদ্ধা করি। প্রভাবশালীদের একটা জীবনশৈলী রয়েছে। তবে পার্টিতে গেলেই বড়লোকদের বন্ধু হওয়া যায় এমনটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি কোনও পার্টিতে যাই না, আমাকে যে খুব বেশি লোকে ডাকে তাও নয়। তাই বলে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। আমির খান আজও দেখা হলে আমাকে সম্মান করেন, এটাই যথেষ্ট'।