গত বছর পুজোর আগেই শোভন আর সোহিনীর প্রেমের চর্চা সামনে আসে। দুজনেই সদ্য ব্রেকআপ কাটিয়ে উঠেছিলেন। শোভনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় অভিনেত্রী স্বস্তিকার। আর সোহিনীর জীবন আলাদা হন রণজয় বিষ্ণু। প্রেম টেকানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভবপর হয়নি। সোহিনীর ভাঙা মন নাকি জোড়া লাগে শোভনের সান্নিধ্যে এসে। আরও পড়ুন-সোহিনীর জীবনে এখন সবই শোভন! প্রাক্তন রণজয়ের জন্মদিন ভুললেন নায়িকা?
চলতি বছর প্রেম দিবসে সুইডেন থেকে ঘুরে এসেছেন দুজনে। তাঁদের প্রেম এখন টলিপাড়ার ওপেন সিক্রেট। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার কয়েক সোহিনীর সঙ্গে আদুরে ছবি দিয়ে প্রেমের ইস্তেহারও দিয়েছেন শোভন, কিন্তু তার স্থায়ীত্ব মিনিট খানেক বেশি হয়নি। কিন্তু অবশেষে প্রেমে সিলমোহর দিলেন সোহিনী, সঙ্গে জানালেন কেন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে এই লুকোছাপা।
শোভনের সঙ্গে ভালো আছেন তিনি, ঘোষণা নায়িকার। রণজয়ের সঙ্গে প্রেম লুকোননি, কিন্তু ব্রেকআপের পরই বুঝেছেন সবটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জাহির করা উচিত নয়। সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহিনী বলেন, 'বলার সময় তো ফুরিয়ে যাচ্ছে না। এখনও সময় আছে। এক্ষুণি.. আমাকে পূর্ব সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে তাড়াহুড়ো করে লাভ নেই। তবে সব কিছুই সোশ্যাল মিডিয়াতে….শোভন হয়ত কিছু ছবি দিয়ে ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক কিছু আছে। যা হবে ভবিষ্যতে দেখা যাবে। আমরা ভালো আছি। সবকিছু দেখিয়ে, সেই সম্পর্ক ভেঙে গেল। তারপর তুমি হাতে বাটি নিয়ে বসে থাকলে, সেটার দরকার নেই'।
সম্পর্ক ভাঙার ভয়েই প্রকাশ্যে প্রেমে আপত্তি তাঁর। এই বছর দোলে কী পরিকল্পনা শোভন-সোহিনীর? বললেন, 'দোলের বিশেষ কোনও প্ল্যান নেই। এই তো এত বড় (সুইডেন) একটা ঘোরাঘুরি করে এলাম। পকেট থেকে সব বেরিয়ে গেছে। ওই বাড়ির ছাদেই সেলিব্রেশন হবে। বন্ধু-বান্ধবরা ক'জন আসবে। মানুষজন যা যা করে, আমরাও তাই করব'।
প্রেমের ক্ষেত্রে মুখচোরা সোহিনী। নিজের থাকতে ভালোলাগার কথা জাহির করেন না। বললেন, ‘আমি নিজে থেকে কিছু বলতে পারি না। আমি সবসময় উলটো দিকের মানুষটার জন্যই বসে থেকেছি। আমি প্রেমের ক্ষেত্রে অন্য মানুষটাকে বলতে পারি না। আমি বন্ধু হিসাবে কথা বললেও প্রেমে সেভাবে কাউকে বলতে পারি না। তবে সেই মানুষটাকে দেখি, দেখি যে নিজের কাজে কতটা ফোকাস, সে সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রিক কিনা! সেগুলো দেখে একটু জাজ করি। একটু বুঝে নিই।’
সঙ্গীর মধ্যে আর গুণ খোঁজেন সোহিনী? হাসিমুখে জবাব, ‘তাঁর পড়াশোনা, সে বই পড়ে কিনা! সে বই পড়ার ভান করে কিনা। কারণ যে বই পড়ার ভান করতে পারে, যে জীবনে অনেক কিছুতেই ভান করতে পারে। ভুলক্রুটি মানুষের মধ্যে থাকবে, কিন্তু সে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করতে পারে কিনা। এগুলো থাকলে সেই মানুষটার সঙ্গে অনেকটা পথ চলা যায়।’