গাঁটছড়া ছাড়ার পর থেকেই দর্শকরা ভীষণ মিস করছেন শোলাঙ্কি রায়কে। ধারাবাহিক শেষ না হলেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খড়ি চরিত্রটি। আসলে চ্যানেলের সঙ্গে কনট্র্যাক্ট শেষ হওয়ার পর তা নতুন করে রিনিউ করতে রাজি হননি শোলাঙ্কি। আসলে একটানা টিভি-তে কাজ করে ক্লান্ত অভিনেত্রী একটু বিরতি নিয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন নতুন কোনও প্রোজেক্টে।
এরপরই খবর আসে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন তিনি। এমনকী শুরুও হয়ে যায় সেই সিরিজের কাজ। ‘কেয়ার অফ চৌধুরী বাড়ি’ নামের সেই সিরিজের লুক টেস্টও হয়ে গিয়েছিল। তারপর শোনা যায়, শোলাঙ্কি রায় সরে এসেছেন ওয়েব সিরিজটি থেকে। সেই জায়গায় এসেছেন টিভির আরেক পরিচিত মুখ সৃজলা গুহ।
কী নিয়ে ঝামেলা পরিচালকের সঙ্গে? কেন শেষ মুহূর্তে সরে এলেন শোলাঙ্কি? অভিনেত্রী আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন, প্রথমে যে পারিশ্রমিক নিয়ে কথা হয়েছিল, চুক্তিপত্রে দেখেন তার থেকে আলাদা অঙ্ক। তার চেয়েও বড় সমস্যা হয় তাঁর কাছে পরিচালকের ব্যবহার। শোলাঙ্কির কথায়, ‘আরও খারাপ যেটা তা হল রাহুলদার জঘন্য ব্যবহার। আমার সহকারীর সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করেছে। আর সহকারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার মানে তো আমার সঙ্গেই খারাপ ব্যবহার। আমি ভবিষ্যতে হইচই-এর সঙ্গে কাজ করলেও, রাহুলদার সঙ্গে আর কাজ করব না।’
‘কেয়ার অফ চৌধুরী বাড়ি’-তে সৃজলা গুহ-র বিপরীতে দেখা যাবে সত্যম ভট্টাচার্যকে। ‘মন ফাগুন’ অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘শোলাঙ্কির বিষয়টা নিয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না। এটা আমার প্রথম ওয়েব সিরিজে কাজ। মন দিয়ে অভিনয়টা করতে চাই। যে সুযোগটা এসেছে তার সদ্ব্যবহার করতে চাই।’ এই ওয়েব সিরিজটিতে আরও কাজ করছেন কাঞ্চন মল্লিক, চন্দ্রেয়ী ঘোষ, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, রবিতোব্রত মুখোপাধ্যায়, সোহম মৈত্র, অনাশুয়া মজুমদার, দুর্বার শর্মারা। লুক সেট হয়ে গিয়েছে। শুটিংও শুরু করে দিয়েছিলেন সকলে। তবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুট আপাতত বন্ধ রয়েছে।
কাজের সূত্রে খড়ি থুরি শোলাঙ্কিকে এরপর দেখা যাবে শহরের উষ্ণতম দিনে সিনেমায়। যেখানে তিনি জুটি বেঁধেছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অর্থাৎ সেই বিখ্যাত ইচ্ছে নদী জুটি। পরিচালনায় অরিত্র সেন। গরমের এই মরশুমেই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছবিখানার। শোলাঙ্কিকে এর আগে দেখা গিয়েছিল যিশু-র সঙ্গে ‘বাবা বেবি ও’ সিনেমাতে।