বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম স্টার শোলাঙ্কি। ‘ইচ্ছেনদী’ দিয়ে কেরিয়ার শুরুর পরেই দর্শক ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। এরপর ‘প্রথমা কাদম্বিনী’, ‘গাঁটছড়া’-র মতো হিট মেগায় দর্শক দেখেছে শোলাঙ্কিকে। কাজ করেছেন বাংলা ওয়েব সিরিজ, ছবির পর্দাতেও।
শোলাঙ্কি নিজের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন। ২০১৮ সালের গোড়ায় স্কুলজীবনের বন্ধু শাক্য বোসকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী। ধুমধাম করে বেঁধেছিলেন গাঁটছড়া। এরপর বরের হাত ধরে নিউজিল্যান্ড পাড়ি দেন। বছর খানেক পর ফিরে আসেন তিনি, এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে নিউজিল্যান্ডে যাতায়াত। মাঝে শোনা গিয়েছিল আর একসঙ্গে থাকেন না শোলাঙ্কি-শাক্য। তবে ডিভোর্স নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন নায়িকা।
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি, জানালেন শাক্যর সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর। নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবার ডিভোর্স নিয়ে অকপটে সবটা জানালেন শোলাঙ্কি। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালেই বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।
সাংবাদিক নিবেদিতাকে শোলাঙ্কি আরও বলেন, ‘হ্য়াঁ, আমি ডিভোর্সি। এটা আলোচনা করার মতো বিষয় নয়। আমি কোনওদিনই নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলিনি। প্রেম-বিয়ে সবটাই ব্যক্তিগত রাখতেই ভালোবাসি। এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন, অনেক আলোচনা, তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই আমার প্রাক্তন স্বামীর থেকে আমি এখন আইনত আলাদা। আর এটা খুব শান্তিপূর্ণ একটা বিচ্ছেদ। এই ঘটনায় আরও একটা মানুষের পরিবার জড়িয়ে, তাই এটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাই না। কারণ আমার পেশার বোঝাটা আমি ওদের উপর চাপিয়ে দিতে পারি না’।
কেরিয়ারই বাধা হল শোলাঙ্কির দাম্পত্যে? শোলাঙ্কি বলেন,'আমার প্রাক্তন স্বামীর মতো মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ও একজন অসাধারণ মানুষ। আর এটা আমি বলার জন্য বলছি না। এটা আমি মন থেকে বিশ্বাস করি, মানি। যখন দুটো মানুষ একসঙ্গে থাকবে ভাবে, তাঁরা চায় সেটা সফল হোক। অনেক সময় দুজন মানুষ খুব ভালো হলেও তাঁরা ওই সময় একসঙ্গে থাকার জন্য ঠিক চয়েসটা নয়। সেটাই আমার মনে হয়েছে আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। একজন খারাপ মানুষের সঙ্গে না থাকাটা অনেক সহজ। ওই সময় জীবন থেকে চাহিদাগুলো অনেক আলাদা ছিল। ছোট ছিলাম, খুব প্রেমছিলাম, মনে হয়েছিল একসঙ্গে থাকতে পারব'।
স্কুলজীবনের বন্ধু ছিলেন শাক্য-শোলাঙ্কি। মাঝখানে কয়েক বছর যোগাযোগ ছিল না। পরে এক কমন ফ্রেন্ডের মাধ্যমে ফের আলাপ। এরপর দ্রুত মন দওয়া-নেওয়া সারেন দুজনে। বিয়েটাও করে নেন ২০১৮-র ফেব্রুয়রিতে। ছোটছিলাম বলে আবেগের তাড়নায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। হয়ত চাইলেই ওখানে (নিউজিল্যান্ড) গিয়ে কাজ হয়ত করতে পারতাম। কিন্তু আমার ল্যান্ডস্কেপটাই পুরো পালটে যাওয়া। এতদিন কাজ ছাড়া, এটা আমার মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছিল। সেই ধাক্কাটা আমি আজ পর্যন্ত সামলে উঠতে পারিনি।'
কর্মসূত্রে নিউজিল্য়ান্ডেই থাকেন শাক্য। ২০২৩ সালে কলকাতাতেই ডিভোর্স চূড়ান্ত হয়েছে তাঁদের। গত কয়েক বছর ধরেই অভিনেতা সোহম মজুমদারের সঙ্গে শোলাঙ্কির প্রেমের গুঞ্জন তুঙ্গে। তবে নিজেদের ভালো বন্ধু বলেই দাবি করেন তাঁরা।