একটা সময় ছোট পর্দার অভিনেতা ছিলেন। এখন যদিও তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় টু লাইনার, কবিতা লিখতে, ছবি বানাতে বেশি দেখা যায়। মূলত ক্যামেরার সামনে নয়, পিছনে থাকতেই আজকাল পছন্দ করছেন সৌরভ। মন দিয়ে ছিলেন রাজনীতিতেও। যদিও সেটা বাস্তবের রাজনীতি নয়, পর্দার, ওয়েব সিরিজ। সদ্যই মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালিত এই সিরিজ। মুখ্য ভূমিকায় আছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, দিতিপ্রিয়া রায়, অর্জুন চক্রবর্তী, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এই সিরিজের হাত ধরে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সৌরভ।
হইচইতে মুক্তি পাওয়া এই সিরিজে উঠে এসেছে এক রাজনৈতিক পরিবারের গল্প। পেশার রাজনীতির সঙ্গে পারিবারিক রাজনীতি যে কতটা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত সেটাই এই সিরিজে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে এক একটি চরিত্রের বহু শেড। পরতে পরতে জড়িয়ে আছে রাজনীতি আর কূটনীতি। গল্প আবর্তিত হয় রাশি এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে। এখানে রাশির ভূমিকায় আছেন দিতিপ্রিয়া। তাঁর বাবা তথা নেতা হয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সম্প্রতি এই সিরিজ সম্পর্কিত এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ্যে আসে। আর সেই তথ্য খোদ পরিচালক সকলকে দিলেন।
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে পরিচালক জানান শুটিংয়ের সময় তাঁকে নাকি ভীষণ বিপদে পড়তে হয়েছিল। আর যাই সমস্যা, প্রতিকূলতা আসুক না কেন সবই সামলাতে হয় পরিচালককে। এবারও তাই হয়েছিল।
সিরিজ শুট করলেই তো হল না, পোস্ট প্রোডাকশনের অনেক কাজ থাকে। আর সেখানে গন্ডগোল পেকেছিল রাজনীতির ক্ষেত্রে। সৌরভ এই সাক্ষাৎকারে জানান, ' শুটিং মানেই সেখানে হাজারো সমস্যা, বাধা থাকবে। তবে রাজনীতি করতে গিয়ে এক ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে পড়েছিলাম। আমাদের শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি এডিটিং পর্যন্ত। প্রযোজনা সংস্থার তরফে ঘোষণাও করা হয়ে গিয়েছে সিরিজ মুক্তির দিন। ডাবিং শেষের পর্যায় তখন। আর তখনই দেখলাম ৬৮টা শট উধাও! অর্থাৎ শুটিংয়ের একটা বেশ বড় অংশ স্রেফ নেই। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। ভাবছি আবার শুটিং করতে হবে? না অন্য কিছু? এদিকে যে সিরিজ মুক্তির দিন প্রায় এসে গিয়েছে। অবশেষে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে শুটিংয়ের সেই অংশকে উদ্ধার করা হয়।' তিনি আরও বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে ভীষণ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। বুকের উপর ভীষণ ভার অনুভব করছিলাম। মনে হচ্ছিল আমায় গোটা টিম নিয়ে জেলে যেতে হবে। যতদিন না রাজনীতি মুক্তি পেয়েছিল দারুণ ভয়ে সময় কাটিয়েছি।'