সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় দিনকয়েক আগেই জানিয়েছিলেন তাঁর একমাত্র মেয়ে সানা গঙ্গোপাধ্যায় পড়াশোনা শেষ করে চাকরি জীবনে পা রেখেছেন। কলকাতায় পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন সানা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ছাত্রী ছিলেন এতদিন। সেখান থেকে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করেছেন।
সানা নিজেও কথা বলেছেন তাঁর নতুন চাকরি নিয়ে। লন্ডনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ইনোভারভিতে চাকরি পেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে সেই চাকরিতে যোগও দিয়েছেন সানা। সৌরভ কন্যা জানিয়েছেন, ইনোভারভিতে তিনি ইন্ডাস্ট্রির সেরাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। সেই কারণেই এই সংস্থায় চাকরি অফার আসার সঙ্গে সঙ্গেই যোগ দেন। ১০ লক্ষের মধ্যে একজন নাকি এই সুযোগ পায়। একইসঙ্গে ইংল্যান্ডেই করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনের পড়াশোনা।
দাদাগিরিতে মেয়েকে নিয়ে প্রায়ই কথা বলে থাকেন ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে এসেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি সৌরভকে প্রশ্ন করেন, ‘আমি যখন ছোটবেলায় বাড়িতে না জানিয়ে কিছু করেছি, জানতে পেরে পরে খুব মারধোর করেছে আমাকে। সানা কি কখনও তোমাকে না বলে কিছু করেছে। পরে জানতে পেরে গিয়েছ। কী করেছ তখন তুমি?’
জবাবে সৌরভ বললেন, ‘হ্যাঁ প্রচুর। আমি কিছু বলি না।’ শ্রীমা ফের প্রশ্ন করেন, ‘তুমি ওকে বকো নি?’ সৌরভ যাতে বললেন, ‘সানা এসব করবে না তো কে করবে। এই বয়সে না করলে আর কবে করবে। এসব তো সানার বাবাও করত।’
‘আমি লুকিয়ে বহু জিনিস করেছি। সানাও লুকিয়ে বহু জিনিস করে। ধরাও পড়ে। কিন্তু বাবা কিছু বলে না। কারণ বেড়ে ওঠার এটাই তো অঙ্গ। এভাবেই তো ঠিক-ভুলটা শিখবে।’, আরও বলেন সৌরভ।
নতুন চাকরির ব্যস্ততায় এবার পুজোতে কলকাতায় আসতে পারেননি সৌরভ-ডোনা কন্যা। এমনকী, জন্মদিনেও পরিবারের থেকে দূরে ছিলেন তিনি। দদাগিরির শ্যুটিং থাকায় সৌরভও যেতে পারেননি মেয়ের কাছে ইংল্যান্ডে। ডটার্স ডে-র দিন সামাজিক মাধ্যমে সানার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে ‘গর্বিত বাবা’ সৌরভ লিখেছিলেন, ‘দুনিয়ার সব থেকে সুন্দর... হ্যাপি ডটার্স ডে। তুমি ভাবতেও পারবে না তোমায় কতটা ভালোবাসি।’
এর আগে সৌরভ জানিয়েছিলেন প্রথম মাইনে পেয়েই মেয়ে উপহার দিয়েছে তাঁকে। দাদাগিরিতেই বাংলবার মহারাজ বলেন, ‘আমাকে ফোনে বলছে বাবা তোমাকে এটা পাঠাব। আমি বললাম সে তো ঠিক আছে, দাম কত? জবাবে এমন একটা দাম বলল, আমি বললাম, আমার লাগবে না। শেষে বললাম, এই প্রথম রোজগার তুমি তোমার ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখো। ভেবেছে হয়তো বাবাকে উপহার দিতে গেলে অনেক দামি দামি গিফট দিতে হয়, নয়তো বাবা খুশি হয় না। আমি ওকে বললাম, আমাকে সামান্য উপহার দেবে তাতেই আমি খুশি।’