মন্নত.. ল্যান্ড এন্ডস। এই নামটা ভূ-ভারতে কেউ শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। শাহরুখ খানের সাধের বাংলো। মায়ানগরী মুম্বইয়ের দর্শনই শেষ হয় না মন্নতের গেটে একটা ছবি না তুললে। সেই মন্নতের অন্দরমহলটা ঠিক কেমন? বলিউড বাদশার সাধের ‘তাজমহল’, হ্যাঁ তাজমহলই বটে। কারণ শাহজাহান যেমন মুমতাজের জন্য তাজমহল গড়ে ছিলেন,শাহরুখ খান তাঁর পত্নীর জন্য এই মন্নত কিনেছিলেন আজ থেকে ২৫ বছর আগে। সেটাকে মনের মতো করে সাজিয়েছেন গৌরী।
রোমন স্থাপত্যশৈলীর ছোঁয়া বিদ্যমান মন্নত জুড়ে। ভিতরের রাজকীয় সজ্জা আপনাকে মুগ্ধ করবে। গৌরী নিজে পেশায় ইন্টিরিয়ার ডিজাইনারও, ভোগ ম্যাগজিনে এক সাক্ষাত্কারে মন্নত সম্পর্কে গৌরী জানিয়েছিলেন,আমার পছন্দ এমন একটা বাড়ি যেটা তবে উষ্ণ,তার মধ্যে একটা আন্তরিকতা থাকবে,নিজস্বতার ছাপ থাকবে। বছরের পর বছর ধরে নানান জিনিস সংগ্রহ করে আমি মন্নত সাজিয়েছি। সেইসব জিনিস যার সঙ্গে আমার প্যাশন জড়িত। তবে বাড়িটা নিজের বলে মনে হয়।
কিং খানের সবচেয়ে দামী অ্যাসেট মন্নত। প্রথম দেখাতেই গৌরী প্রেমে পরে গিয়েছিলেন মন্নতের। ব্যাস,মনের মানুষের মন রাখতেই চটপট ১৩ কোটি টাকা দিয়ে এটি কিনে ফেললেন শাহরুখ। আজকের দিনে মন্নতের বাজার দর ২০০ কোটি টাকা। মুম্বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর প্রাসাদ বলে গন্য করা হয় মন্নতকে। নারিমান ডুবাসের কাছ থেকে ১৯৯৫ সালে এই বাংলোটি কেনেন শাহরুখ। সেই সময় মন্নতের নাম ছিল ভিলা ভিয়েনা। আজ শাহরুখ-গৌরীর মন্নত ছ তলা। মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে মুম্বইয়ের বুকে। ২৪৪৮ স্কোয়ার মিটার জায়গা জুরে অবস্থিত মন্নত। এর ভিতরে রয়েছে জিম, সুইমিং পুল, বিশাল বাগান এবং একটি আস্ত সিনেমাহল। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত মুম্বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর প্রাসাদ বলে গন্য করা হয় মন্নতকে। শাহরুখের ট্রফি আর অ্যাওয়ার্ড রাখার জন্যই মন্নতে রয়েছে একটা আলাদা কামরা। ৪২ জন আরাম করে বসে সিনেমা দেখবে-এত বড় হোম থিয়েটার আর কোথায় পাবেন মন্নত ছাড়া? সেই থিয়েটারের দেওয়াল সাজানো ক্লাসিক হিন্দি ছবির পোস্টার দিকে,দেখলেন মন জুড়িয়ে যায়।
গৌরীর কথায় তাঁর তিন সন্তানই মন্নত সাজাতে সাহায্য করেছে তাঁকে। প্রত্যেকের স্টাইল আর ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী মন্নতকে সাজিয়েছেন গৌরী। তাঁর কথায়, এই বাড়ির কোনও বাঁধা ধরা নিয়ম নেই। আমার বাড়িতে হোমওয়ার্ক করা বা খাওয়ারও কোনও সময় নেই। কিন্তু আমার সন্তানরা স্কুল থেকে ফিরলে সবসময় আমাকে বাড়িতে পারে। ওদের পাশে থাকাটা খুব জরুরি।