২২টি বসন্ত পার করে ফেললেন বাংলা টেলিভিশনের ‘মিঠাই’ রানি। বৃহস্পতিবার ছিল সৌমিতৃষার জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিনটা আরও স্পেশ্যাল হয়ে উঠল বিশেষ মানুষদের উপস্থিতিতে। বার্থ ডে গার্লের জন্য একের পর এক সারপ্রাইজ। ‘মিঠাই’-এর গল্প বলছে প্রেমের জোয়ারে ভাসছে মিঠাই ও তাঁর উচ্ছেবাবু। অন্যদিকে সৌমিতৃষার জন্মদিনের পার্টিতেও প্রেমের রঙ। মিঠাই পরিবারের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিলেন সৌমিতৃষা। কেক কেটে চলল দেদার সেলিব্রেশন।
রুফ টপ রেস্তোরাঁর ছাদ সেজে উঠেছিল লাল-সাদা বেলুনে। শহর কলকাতায় সবে রাত নেমেছে। লাল শিফন শাড়িতে সেজেছিল মিঠাই, মাথায় গোঁজা লাল গোলাপ, হাতে লাল নেইলপলিশ। সৌমিতৃষা পর পর কেক কেটে চলেছেন। উপহারেও ভাসলেন সৌমিতৃষা। হলুদ গোলাপ, চকোলেট, ব্যাগ- আরও কত কী! আসলে এটাও তো সৌমিতৃষার আরও একটা পরিবার।
কেক কেটে প্রথম ভাগটা আদৃতের মুখেই তুলে দিল সৌমিতৃষা। আদর করে মিঠাই পরিবারের অনেকেই ‘গুবলু’ বলে ডাকে সৌমিতৃষাকে। ‘হ্যাপি বার্থ ডে গুবলু’ বলে এদিন রীতিমতো গলা ফাটাতে দেখা গেল আদৃতকে।
জন্মদিনের সেলিব্রেশনের একটা পর্ব মিঠাই পরিবারের সঙ্গে মিটিয়ে আবার বন্ধুদের সঙ্গে সেলিব্রেশনের পালা, সঙ্গে বাবা-মা'ও রয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে সৌমিতৃষার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের অন্যতম শুভ্রজিত সাহা আর সায়ক চক্রবর্তী- তাঁদের নিয়ে শহরের এক আওয়াধি রেস্তোরাঁয় জমিয়ে খানাপিনা সারলেন সৌমিতৃষা। এদিন ছিল নো-়ডায়েট।
নতুন বছরের শুরুতেই বেঙ্গর টপারের আসন হারিয়েছে ‘মিঠাই’। কিন্তু সেই নিয়ে কোনও দুঃখ নেই সৌমিতৃষার। বরং নিজের কাজটাই মন দিয়ে করে যেতে চান আগামিদিনেও। বৃহস্পতিবার সৌমিতৃষার জন্মদিনের সামনে এসেছে চলতি সপ্তাহের রিপোর্ট কার্ড। সেখানে এক ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ‘মিঠাই’। খুব শীঘ্র হারানো স্থান ফিরে পাক মিঠাই, জন্মদিনে নায়িকার জন্য এমনটাই কামনা তাঁর গুণমুগ্ধ ভক্তদের।