মহালয়া থেকেই বাংলার আকাশে-বাতাসে থাকে খুশির আমেজ। একটা পুজোপুজো গন্ধে ভরে যায় চারদিক। মন খারাপও যেন এক নিমেষে কেটে যায় দেবীপক্ষের শুরুতেই। কিন্তু দশমী আসতেই ভারী হয় আকাশ। মা চলে যাওয়ার কষ্টে বুক ফাটে বাঙালির। আবার এক বছর পর আসবেন উমা। তবে যতই কষ্ট হোক, মা-কে বিদায় জানানোতে খামতি থাকে না কোনও।
এবার আরবানার ভিতরেই পুজোয় মেতেছিলেন শুভশ্রী। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। রাজ-ইউভানকে নিয়ে রোজই মজলেন আনন্দে। মন ভরে করলেন সাজুগুজু। অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে ঠাকুর বরণ, বাদ গেল না কিছুই। দশমীর নিরঞ্জন সম্পন্ন হতেই আরবানার মণ্ডপেই হাজির হয়েছিলেন তিনি দেবীবরণে। লাল পাড়ের সাদা শাড়ি, গলায় সোনার গয়না, মাথায় ঘোমটা। শুভশ্রীর সঙ্গে ম্যাচিং পঞ্জাবি পরেছিলেন রাজও। এমনকী খুদে ইউভানকেও পাওয়া গেল এদিন ধুতি আর পঞ্জাবিতে।
আরও পড়ুন: এই বুঝি হয়ে গেল চুমু! বাংলার বাইরে পুজো কাটাতে কোথায় গেলেন রাজা-মধুবনী
প্রেগন্যান্ট বউকে পদে পদে সামলে রাখলেন রাজ। তিনিই হাতে ধরেছিলেন বরণের থালা। বাঁশ দিয়ে বাঁধা, কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি সিঁড়ি উঠতে সাহায্য করলেন শুভশ্রীকে। সঙ্গে শুভশ্রী যখন মা-কে আদর করে বরণ করছিলেন, পরাচ্ছিলেন সিঁদুর, তখন ছবিও তুলে দিলেন তিনি বউয়ের।
দশমীর সিঁদুর বরণের পর ছবি শেয়ার করে সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন বিজয়ার। দেখুন রাজের সেই পোস্ট-
সুন্দরী বউয়ের কিছু ছবি ইনস্টা স্টোরিতেও করলেন শেয়ার রাজ। দেখুন-
ডিসেম্বরেই রাজ আর শুভশ্রীর কোল আলো করে আসার কথা রয়েছে তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। ইউভানের নতুন খেলার সঙ্গী আসার খবর ভাগ করে নিয়েছিলেন জুন মাসে। রাজ জানিয়েছিলেন পরিকল্পনা করেই এসেছে দ্বিতীয় সন্তান। বিয়ের পর থেকেই ঠিক ছিল দুটো বাচ্চা নেবেন। এমনকী ঠিক করে রেখেছিলেন দুই সন্তানের বয়সের ফারাক রাখবেন ৩ বছর। আর ভগবানের আশীর্বাদে সেই ইচ্ছেই পূরণ হয়েছে তাঁদের। অক্টোবরেই ৩ বছর হল ইউভানের।
প্রেগন্যান্সিতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন। আবার প্রলয়ের প্রচার থেকে ডান্স বাংলা ডান্সের শ্যুট, বিজ্ঞাপনের কাজ-- বাদ দেননি কিছুই। এমনকী নিয়মিত শরীরচর্চাও করেছেন জিমে গিয়ে। আর বউয়ের খুব খেয়াল রেখেছেন রাজ। মায়ের যত্ন নিয়েছে ইউভানও। শুভশ্রীর ইচ্ছে, ছেলের পর একটা যেন মেয়ে হয়।