২০০১ সালে ১৫ জুন বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছিল সানি দেওল আর আমিশা পাটেলের ‘গদর: এক প্রেম কথা’। ১৮ কোটির ছবি সেই সময় ১৩৩ কোটির ব্যবসা করে রেকর্ড গড়েছিল বক্স অফিসে। যা ওই একই দিনে মুক্তি পাওয়া ‘লগন’-এর থেকে কয়েক গুণ বেশি। এবার ২২ বছর পর সামনে এল সিক্যুয়েল। বড় পর্দায় ফিরলেন তারা সিং আর সাকিনা। আর ফিরল সেই পুরনো করিশ্মা। ফের একবার ইতিহাস গড়ার পথে সানি দেওল আর আমিশা পাটেলের যুগলবন্দি। ৩ দিনেই ১৩৫ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে ছবিখানা।
ফের একবার গোটা দেশ উত্তাল সানি দেওলকে নিয়ে। ধর্মেন্দ্র পুত্রকে একবার ছুঁয়ে দেখতে, একবার চোখে দেখতে পাগল আট থেকে আশি। এবারে গদর ২-এর টক্কর অক্ষয় কুমারের ওএমজি ২-এর সঙ্গে। আর লগনের মতো ওহ মাই গড ২-ও পিছিয়ে আছে ব্যবসার অঙ্কে অনেকখানি।
সানির এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস দেখাল তাঁর পরিবারও। বাবাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সানি দেওলের ছোট ছেলে রাজবীর দেওল। বাবার সঙ্গে ছেলেবেলার একটি ছবি শেয়ার করে রাজবীর লিখলেন, ‘তুমিই সেই প্রতিষ্ঠান যাকে আমরা দেখি। তোমার কাজের প্রতি সততা, ভালোবাসা, একনিষ্ঠতাই ফুটে উঠেছে গদর ২-তে যা ভালোবাসা পাচ্ছে দর্শকদের থেকে। একবার যে সুপারস্টার, সে সবসময় সুপারস্টার। এবার উদযাপনের সময় আমার সুপারহিরো, আমার বাবা।’
Sacnilk.com-এর রিপোর্ট অনুসারে প্রথম দিন এই ছবি বক্স অফিসে ৪০.১০ কোটি টাকার ব্যবসা করে। আর সেই ধারা এটি দ্বিতীয় দিনেও বজায় রাখে। শনিবার ছবিটা বক্স অফিসে ৪৩ কোটি টাকা আয় করেছে, আর তৃতীয় দিনে ৫২ কোটি টাকা আয় করে তিনদিনে মোট ১৩৫ কোটি টাকা রোজগার করেছে!
খুব কম বাজেট নিয়েই নাকি তৈরি হয়েছে ‘গদর ২’। এক সাক্ষাৎকারে ‘গদর ২’ ছবির পরিচালক অনিল শর্মা জানিয়েছিলেন, 'বাজেট প্রসঙ্গে জি স্টুডিওজ কথা বললেই ভালো হবে। তবে মানুষজন এই যে ৮০, ১০০, ১৫০ কোটির বাজেটের কথা বলে তেমন কিছু নয়। তার থেকে অনেক কম ছিল বাজেট।'
‘আজকাল তো ১৫০-২০০ কোটি টাকা হিরোর পারিশ্রমিক থাকে। তাতে ছবির বাজেট ৬০০-৭০০ কোটি হয়ে যায়। উনি ওঁর পারিশ্রমিক অনেকটাই কমিয়ে ছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম বাজেটের অধিকাংশ প্রডাকশনেই খরচ করব।’, আরও জানান অনিল।