আপতত বাইকুল্লা জেলেই বন্দি থাকবেন রিয়া চক্রবর্তী। ফের বাড়ল সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্তের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ। আজ, ৬ অক্টোবর শেষ হচ্ছিল সুশান্ত মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত মাদককাণ্ডে গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী সহ ১৮ জনের বিচারবিভাগীয় কাস্টডির মেয়াদ। এদিন বিশেষ এনডিপিএস আদালত রিয়া, শৌভিকের হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দিল ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। এই মুহূর্তে তালোজা জেলে বন্দি রয়েছেন শৌভিক চক্রবর্তী, তথা সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত। সকলেরই বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে সেশন কোর্ট।
সুশান্তের মৃত্যু মামলার সঙ্গে জড়িত আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে নেমে রিয়ার মাদকযোগের বিষয়টি উঠে আসে ইডির হাতে। এরপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আবেদনে সাড়া দিয়ে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলার তদন্তে নামে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এরপর তৃতীয় দিন জেরার সময়, গত ৮ সেপ্টেম্বর এনসিবির হাতে গ্রেফতার হন রিয়া চক্রবর্তী। আগেই গ্রেফার হয়েছিলেন রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী। সুশান্তের জন্য মাদক সংগ্রহ করতেন রিয়া ও শৌভিক, চলত আর্থিক লেনদেনও। তাই এনডিপিএস আইনের ২৭ (এ) ধারায় এই ভাই-বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। সেশন কোর্টে আগেই খারিজ হয়েছে রিয়া, শৌভিকের জামিনের আর্জি। এরপর বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত ভাই-বোনের আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বম্বে হাইকোর্টে প্রায় সাত ঘন্টা ধরে জাস্টিট এস পি কোটওয়াল বেঞ্চে চলে রিয়া-শৌভিকদের জামিনের শুনানি। যদিও জামিনের রায় সংরক্ষিত রেখেছে হাইকোর্ট। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে লাগাতার অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। হাইকোর্টে এনসিবি স্পষ্ট জানায়, রিয়া ও শৌভিক মাদক চক্রের অ্যাক্টিভ সদস্য, যাঁদের হাই সোসাইটির ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এবং মাদক পাচারকারীদের সঙ্গেও-তাই এঁদের জামিন দেওয়াটা তদন্তের গতিকে বাধাপ্রাপ্ত করবে’।
গত বুধবার, বম্বে হাইকোর্টে রিয়া-শৌভিকের জামিনের শুনানি শেষে বিচারপতি নিজের রায় সংরক্ষিত রেখে জানান ‘আমি দ্রুত এই শুনানির রায় দানের চেষ্টা করব। তবে আপনারা যেমনটা জানেন এই মামলা অনেক গভীর এবং অনেক বিষয় আলোচনা করার দরকার রয়েছে। আপনরা সকলে ভালো সওয়াল-জবাব করেছেন'।
জামিনের রায় এখনও ঘোষণা করেনি বম্বে হাইকোর্ট।