করোনাবিধি লঙ্খন করে রাতভর পার্টি করার জন্য মঙ্গলবার ভোররাতে মুম্বইয়ে ড্রাগনফ্লাই ক্লাব থেকে গ্রেফতার হন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার সুরেশ রায়না, সংগীত শিল্পী গুরু রানধাওয়া এবং হৃত্বিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুজান খান। মুম্বই এয়ারপোর্টের কাছে এই ক্লাবে আজ ভোররাতে হানা দেয় মুম্বই পুলিশের একটি দল। ক্লাবে উপস্থিত সকলের উপর করোনাবিধি ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরপরই সুজান খানের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতি দিয়ে পোস্ট করেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘গত রাতে জে ডব্লু ম্যারিয়টের ড্রাগন ফ্লাই ক্লাবে আমি আমার কাছের বন্ধুর জন্মদিনের ডিনারে গিয়েছিলাম এবং সঙ্গে আরও বন্ধুরা ছিল। ভোররাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ ক্লাবে ঢোকে। পুলিশ ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন সকলকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা চলে। সকাল ছ’টা নাগাদ আমরা বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাই। অর্থাৎ সংবাদমাধ্যমে ছড়ানো আমার গ্রেপ্তারির খবর সম্পূর্ণ ভুল ও দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন’।
তিনি আরো লেখেন, ‘আমি বুঝতে পারছিনা আমাদের কেন অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল কী সমস্যা হয়েছিল ছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আমি সরাসরি এই বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছি তাই। মুম্বইবাসীদের সচেতনতার স্বার্থে মুম্বই পুলিশের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্ঠাকে তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁদের নিরন্তর প্রচেষ্ঠা না থাকলে, আমরা কেউ নিরাপদ বোধ করব না’।
উল্লেখ্য, ক্লাব থেকে ৭ জন ক্লাব কর্মী-সহ মোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয় দিন। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮ নম্বর ধারা ছাড়াও বম্বে পুলিশ আইন ও মহামারি আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার হওয়ার ৩৪ জনের মধ্যে ১৯ জন দিল্লি ও পঞ্জাবের বাসিন্দা টুইট বার্তায় জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
পাশাপাশি বাদশার গানের লাইন ধার করে তাঁদের সাফ বক্তব্য, ‘পার্টি নেহি চলেগি টিল ৬ ইন দ্য মর্নিং'। এই লাইনের বাংলা তর্জমা হল সকাল ৬টা পর্যন্ত পার্টি করা চলবে না।
নির্ধারিত সময়ের পরেও পানশালা খুলে রাখার জন্যই পুলিশ হানা দেয় ওই নাইট ক্লাবে। নাইট কার্ফু লঙ্ঘনের জেরেই তৈরি হয় এই জটিল পরিস্থিতি। সকলে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়, এরপর তাঁদের সিআরপিসি ৪১ (এ) (১)-এর ধারা অনুসারী জিজ্ঞাসাবাদের পর জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।