দ্বিতীয়বার মা হওয়ার পর সুজয় ঘোষের ‘জানে জান’ দিয়ে পর্দায় ফেরেন করিনা। কিন্তু এই নেটফ্লিক্স অরিজিন্যাল দর্শক মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ। যদিও প্রশংসা কুড়িয়েছে করিনার অভিনয়। লাল সিং চড্ডার ভরাডুবির পর ‘জানে জান’ও ডাহা ফেল, কেরিয়ারে ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন না করিনা। এর মাঝেই নতুন উদ্যমে ফেরার প্রস্তুতিতে বেবো। কেরিয়ারে প্রথমবার গোয়েন্দার ভূমিকায় নবাব ঘরণী। সৌজন্যে জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক হনসল মেহতার ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডারস’। এই ছবির যৌথ প্রযোজকের ভূমিকাতেও রয়েছেন অভিনেত্রী।
শনি ও রবিবার বিএফআই লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে এই ছবি। কুড়িয়েছে প্রশংসা। স্বভাবতই দারুণ খুশি করিনা। এই ছবিতে জসমীত ভামরা নামের এক গোয়েন্দার চরিত্রে দেখা যাবে তৈমুর জননীকে। নিজের সন্তানকে হারিয়েছে এই গোয়েন্দা, এবার তাঁর কাঁধে ১০ বছরের এক খুদের খুনের কিনারা করার দায়িত্ব। গোটা ঘটনার প্রেক্ষাপট ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ার।
ইনস্টাগ্রামে করিনা নিজের চরিত্রের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন। 'জসমীত' করিনাকে কখনও দেখা গেল কাচের জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতে, আবার কখনও খুব সিরিয়াসভাবে এক মনে কিছু চিন্তাভাবনা করতে।
জসমীত ওরফে জ্যাসের চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগঘন নায়িকা। তিনি লেখেন, ‘জ্যাস হল এমন এক চরিত্র যা পর্দয় ফুটিয়ে তুলতে আমি গত ২৩ বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমি নিজে গোয়েন্দা কাহিনির দারুণ ভক্ত। করমচাঁদ থেকে প্রাইম সাসপেক্টের হেলেন মিরেন কিংবা আগাথা ক্রিস্টির এরকুল পোয়ারো, নতুবা ‘মেয়ার অফ ইস্টটাউন’-এর কেট উইনস্লেট। আমি মহিলা গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করতে মরিয়া ছিলাম। আমাকে ২৫ পাতার সারাংশ দিয়েছিলেন হনসল মেহতা। রাত ১টার সময় সেটা পড়া শুরু করেছিলাম, আমি জানতাম আমি সেই মহিলাকে অবশেষে খুঁজে পেয়েছি যা আমি হতে চেয়েছিলাম….’।
করিনার চোখে গোয়েন্দা গল্প হলেও এটি একটি ‘আনকনভেনশান্যাল ছবি’। করিনা লেখেন, ‘একতা, হনসল আর আমি একটা প্রথাবিরুদ্ধ ছবির অংশ হয়েছি, কিন্তু এই ছবিটা হৃদয় দিয়ে তৈরি করা। কিছুটা হাসি, আর অনেক কান্না….এটা গতকাল রাতে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে প্রদর্শিত হয়েছে, এই ছবিটা নিজের যাত্রা শুরু করল… সিনেমার অন্য়তম সেরা মঞ্চে…. আমি অত্যন্ত নার্ভাস এবং একইসঙ্গে উত্তেজিত কারণ প্রথমবার অভিনেতার পাশাপাশি আমি কোনও ছবির প্রযোজক। লিখতে একটু অদ্ভূত লাগছে, তবে সত্যি বলতে নিজেকে খুব কুল মনে হচ্ছে’।
পাশাপাশি এই ছবির সিকুয়েলের ইঙ্গিতও ছবি মুক্তির আগেই দিয়ে দিলেন করিনা। জানালেন,'আশা রাখছি জ্যাসের জার্নি এখানে সেষ হবে না। কারণ আমার স্বপ্ন এমন এক শক্তিশালী নারী চরিত্র, যার নিজের কষ্ট প্রশ্নাতীত, অথচ তাঁর দৃঢ়চেতা মনোভাব অশেষ'।