টলিউডের অন্যতম সুখী ও মিষ্টি দম্পতিদের মধ্যে নাম আসে তাঁদের। বর নামী পরিচালক। হাত দিলেই সোনা ফলে। যতটা ভালো পরিচালক, ততটাই ভালো অভিনেতা। গুণে কোনও অংশে কম যান না তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রীও। একাধিকবার তাঁকে দেখা গিয়েছে ছকভাঙা নানা চরিত্রে। নিজেকে ভেঙেগড়ে নিয়েছেন। বারবার জিতেছেন মানুষের মন। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান, তাঁদের ছেলেও নাম লিখিয়েছে অভিনয়ে।
এই অভিনেত্রীকে দিনকয়েক আগে দেখা গিয়েছে করণ জোহর পরিচালিত একটি ছবিতে। যাতে বাংলা থেকে কাজ করেছিলেন টোটাও। ঠিকই ধরেছেন ছবিখানা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়ের বিয়ের সময়কার।
কৌশিক নিজেই দিয়েছিলেন ছবিখানা ইনস্টাগ্রামে ২ বছর আগে। লিখেছিলেন, ‘পারিবারিক আপডেট দেওয়ার চল আমাদের পরিবারে নেই । নিজেরাই নিজেদের মতো করে আনন্দ বা মন খারাপ সামলে আগলে রেখেছি। কিন্তু এমন কিছু দিন আসে যখন মনে হয়, বহু মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আবার নতুন করে পথ চলা শুরু করি। আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী। এতো ভালোবাসা আপনারা দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই।’
আরও পড়ুন: ‘ভাবিনি রাজ চক্রবর্তীর নায়িকা হব’! মিঠুনের সঙ্গে কাজ প্রথম সিনেমায়, অহনা বললেন, ‘জানি মা থাকলে…’
১৯৯৩ সালের ১৬ জানুয়ারি বিয়ে করেন চূর্ণী আর কৌশিক। চলতি বছরের বিবাহবার্ষিকীর দিন নিজেদের প্রেম জীবনের কথা ভাগ করে লিখেছিলেন কৌশিক, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু হওয়া এই বিয়ের কোর্সটা আজীবনের। এই দুই ছাত্র-ছাত্রীর কারোরই এই লেখাপড়াটা ছাড়ার ইচ্ছে নেই। এতে পড়ানো হয় বন্ধুতা, সমবেদনা, সততা, নম্রতা, সহনশীলতা, আবেগ, ক্ষমা , আদরের মত আরো অনেক অনেক চ্যাপ্টার! অদ্ভুত এক বই যার কোনো আকার নেই, পেজ নাম্বার নেই! একটা পাতা থেকে যেন শয় শয় পাতা খুলে খুলে বের হয়ে আসছে।’ বলা বাহুল্য এই লেখাপড়াটা তাঁদের সফল বিবাহিত জীবন।
আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী বা নিম ফুলের মধু নয়! সবাইকে চমকে ভোটের বাজারে টিআরপি টপার জি বাংলার এই মেগা
অভিনেতা আরও জানান, ১৯৯৩ সালের ১৬ জানুয়ারি থিয়েটার রোডে চূর্ণীর বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। বাড়ীর গেটে লেখা ‘চূর্ণীর বিয়ে’! সেই গেটটাই বদলে দিয়েছে জীবন। তারপর নানা ওঠাপড়া হয়তো এসেছে, ছাড়েননি হাতটা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছেন। আর এখন উজানকে নিয়ে সুখের সংসার। বিয়ের এই ছবিখানা নতুন করে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনুরাগীরাও ভরে ভরে ভালোবাসা জনাচ্ছেন।