বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > OTT Regulations by TRAI: OTT-এর অবাধ স্বাধীনতা খর্ব করতে আসছে নতুন নিয়ম, আলোচনা শুরু TRAI-এর

OTT Regulations by TRAI: OTT-এর অবাধ স্বাধীনতা খর্ব করতে আসছে নতুন নিয়ম, আলোচনা শুরু TRAI-এর

OTT-এর অবাধ স্বাধীনতা খর্ব করতে আসছে নতুন নিয়ম

OTT Regulations by TRAI: TRAI বা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে আলোচনা পর্ব শুরু করে দেওয়া হল OTT পরিষেবার উপর নিয়ন্ত্রণ চালু করার।

ভারত জুড়ে এখন OTT প্ল্যাটফর্মের রমরমা। কিন্তু এই মাধ্যমে বিনোদনের উপর কোনও সেন্সরশিপ নেই। এবার সেটা তাই সেটাকে নিয়ন্ত্রন করতে মোদী সরকার ঠিক করেছে ডিজিটাল মিডিয়া এবং ওয়েব মাধ্যমকে নিয়মের নাগপাশে বেঁধে ফেলবে। এবার ভারতের টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে কনসালটেশন প্রসেস চালু করে দেওয়া হল OTT পরিষেবাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এই ওভার দ্য টপ OTT প্ল্যাটফর্মের মধ্যে আছে হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল, টেলিগ্রাম ইত্যাদির মতো অ্যাপ। এদের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু পরিষেবা ব্যান করে দেওয়ার ব্যাপারে এদের মতামত কী?

TRAI বা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়ার তরফে স্টেকহোল্ডারদের জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে যদি কিছু নির্দিষ্ট OTT পরিষেবা বা ওয়েবসাইট দেশের নির্দিষ্ট কিছু অংশে কদিনের জন্য ব্যান করে দেওয়া হয় তাহলে কী হবে। একই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে এর মধ্যে কোন OTT পরিষেবাগুলিকে রাখা যেতে পারে। এই সমস্ত বিচার বিবেচনা করে একটা রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে।

শুক্রবার কনসালটেশন পেপার রেগুলেটর জানিয়েছেন, তাঁরা আপাতত বিচার বিবেচনা করছেন যে টেম্পোরারি সাসপেনশন করলেই হবে নাকি কিন্তু অন্য আইন আনতে হবে দেশের কিছু অংশে কিছু নির্দিষ্ট OTT পরিষেবা ব্যান করার জন্য। একই সঙ্গে তিনি স্টেকহোল্ডারদের থেকে এও জানতে চেয়েছেন যে OTT পরিষেবা দেন যাঁরা এবং টিভি চ্যানেলের পরিষেবা দেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে কি কোনও কোলাবরেশন করা উচিত?

ভারতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের প্রায় ২০ কোটি গ্রাহক রয়েছেন, এবং এই ১,০০০ কোটি টাকার মার্কেট ভ্যালু রয়েছে এই সেক্টরের। বেশ কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য মাসিক বা বার্ষিক হিসাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রিবশন ফি দিতে হয়, তবে বেশিরভাগ ওটিটি প্ল্যাটফর্মই বিনামূল্যে দেখা যায়, কোনওরকম টাকা খরচ না করেও। ইদানিংকালে OTT এর মার্কেট আরও বেড়েছে। এর আগেও ২০২০ সালে একবার ট্রাইয়ের তরফে রেগুলেশন আনার কথা ভাবা হয়েছিল কিন্তু তখন সরকারের তরফে মনে করা হয় এটা সঠিক সময় নয়। তাই তখন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় না। আপাতত সেই সঠিক সময় এসেছে বলেই সরকারের তরফে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে OTT প্ল্যাটফর্মের চাহিদা তুঙ্গে। সকলেই এখন বাড়ি বসে সিরিজ, সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন। তাই এখানে কী দেখানো হবে, কী নয় এসব নির্ধারণ করার সময় এসেছে বলেই মনে করছে সরকার।

৪ অগস্টের মধ্যে যে যে মন্তব্য, মতামত পাওয়া যাবে সেগুলোকে নিয়ে কাজ সেরে ফেলা হবে বলেও জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কিন্তু কিন্তু তবুও স্টেহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

ট্রাইয়ের তরফে OTT পরিষেবা, OTT যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইত্যাদির ক্লাসিফিকেশন এবং কোন পরিষেবা কী সেটার বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে স্টেকহোল্ডারদের।

রেগুলেটর স্টেকহোল্ডারদের আরও জিজ্ঞেস করেন যে OTT পরিষেবাকে কোনও আইন বা লাইসেন্সের আওতায় আনা উচিত কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। কেবল গ্রাহকদের কেমন পরিষেবা দেওয়া হবে সেটা নয়, গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, স্প্যাম এর জন্য কেমন নিয়ম আনা উচিত ইত্যাদি বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংক গ্যারান্টির লাইসেন্স ফি, আর্থিক অবস্থা এসবের কথাও জানতে চাওয়া হয়েছে স্টেকহোল্ডারদের থেকে।

বন্ধ করুন