শিজান মারে তুনিশাকে, দাবি মায়ের।
তুনিশা শর্মার মৃত্যুর ৭ দিন কেটে গিয়েছে। শনিবার আলিবাবা-দাস্তান-এ-কবুলের সেটে আত্মঘাতী হন ২০ বছরের এই অভিনেত্রী। মেয়ে হারানোর শোকে পাথর মা বনিতা শর্মা। বুধবার যখন মীরা রোডে মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। মেয়ে মারা যাওয়ার পর তিনিই থানায় তুনিশার প্রাক্তন প্রেমিক শিজানের নামে এফআইআর করেছিলেন। ফের একবার তুনিশার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে সরব হলেন বনিতা। বললেন, ‘শিজানের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি শান্তিতে বসব না
মিডিয়াকে তুনিশার মা বনিতা বলেন, ‘তুনিশা আত্মহত্যা করে মরতে পারে না। আমি জানি না ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে কী হয়েছিল। শিজানের মেকআপ রুমে এটি হয়েছে, ভগবান জানে ও আমার মেয়ের সঙ্গে কী করেছে। যেদিন ওদের ব্রেকআপ হয়, সেদিন শিজান তাকে চড় মেরেছিল। খুব কেঁদেছিল এতে তুনিশা। বারবার বলছিল ও আমাকে ব্যবহার করেছে।’
বনিতা আরও জানান, ‘আমি শুধু জানতে চাই সেদিন কী ষড়যন্ত্র হয়েছিল, কোন ঘটনা তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আমরা কথা বললাম এবং আধা ঘণ্টার মধ্যে কী এমন হল আমি জানি না। শিজানও ওকে নামিয়ে এনেছিল এবং ওরা সময়মতো অ্যাম্বুলেন্সও ডাকেনি। এটা খুনও হতে পারে। আমরা জানতে পেরেছি যে ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে। শিজান হিজাব পরতেও বাধ্য করেছিল।’ আরও পড়ুন: উদ্ধার শিজানকে লেখা তুনিশার শেষ চিঠি, একটা কাপড়, শনিবার কী হয়েছিল আলিবাবার সেটে
প্রসঙ্গত, আপাতত পুলিশি হেফাজতে আছে শিজান। আদালতের তরফে প্রথমে চার দিন ও পরে দু দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে শিজানের সঙ্গে কথা হয়েছিল তুনিশার। যদিও ঠিক কী নিয়ে তার সম্পূর্ণ তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তুনিশার হাতে লেখা একটি চিরকুটও মিলেছে। যার একপিঠে লেখা হয়েছে শিজানের নাম। আর উলটো পিঠে লেখা, ‘ওর সৌভাগ্য আমাকে সহকর্মী হিসেবে পাওয়া’।
পুলিশের হাতে শিজানের সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্কের প্রমাণও এসেছে। ‘গোপন প্রেমিকা’র খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। যার সঙ্গে হওয়া সমস্ত চ্যাট মুছে দিয়েছে শিজান। আপাতত তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে। এবং সঙ্গে সেই রহস্যময়ী নারীর সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।