অক্ষয় কুমারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না তাঁর লেখার দক্ষতার জন্য সবসময়ই খবরে থাকেন। ভালোবাসা দিবসের আগে টুইঙ্কেল খান্না একটি মজার পোস্ট শেয়ার করেছেন। টুইঙ্কল খান্না ওরফে মিসেস ফানিবোনস ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে তার চিন্তাভাবনা শেয়ার করেছেন। আসলে হাস্যকর ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশনের জন্য পরিচিত টুইঙ্কল। বিশ্বজুড়ে উদযাপিত ভালোবাসা দিবসে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে রসিকতা করে টুইঙ্কল বলেছেন, বররা স্ত্রীদের কী উপহার দেয় তিনি জানেন। অক্ষয় কুমার-টুইঙ্কেল খান্না বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয় এই দম্পতি। আরও পড়ুন: মাথার ওড়না সেট করে, জোড় বেঁধে দিলেন মুক্তির, বোনের বিয়ের ভিডিয়ো শেয়ার করলেন শক্তি
ভ্যালেন্টাইন্স ডে পোস্ট টুইঙ্কেল খান্নার
কেন ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করা হয়, সেই ভাবনা নিয়ে টুইঙ্কেল খান্না লিখেছেন, ‘সম্ভবত ভ্যালেন্টাইন্স ডে একটি পরীক্ষা হিসেবে শুরু হয়েছিল। কোনও সিজনে কোনও বোর্ড মিটিংয়ে ক্রিসমাসের পরে বিক্রি কমে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তখনই উপহার থেকে উপার্জনের কথা উঠেছিল। একই সঙ্গে নিশ্চই ভাবা হয়েছিল কীভাবে মানুষকে উপহার কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করা যায়। অন্যদিকে, জার্মান-আমেরিকান দার্শনিক হান্না আরেন্ড্ট একবার বলেছিলেন, ’কোনও অভিজ্ঞতা তখনই দৃশ্যমান হয় যখন বলা হচ্ছে।' তার সমস্ত ভোগবাদের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে সম্ভবত প্রেমের বিমূর্ততাকে আরও শক্ত করে তোলে'। আরও পড়ুন: কোট-প্যান্টে বিয়ে বাড়িতে অরুণ দা, রাগের চোটে পুরো ধুয়ে দিলেন ‘নন্দিনী দির ভাইকে’
ভারতীয় স্বামী সম্পর্কে বিশেষ মন্তব্য টুইঙ্কলের
টুইঙ্কেল খান্না আরও বলেন, ‘তবে, আপনি যদি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিবাহিত মহিলাদের জিজ্ঞাসা করেন। ভালোবাসা দিবসে আপনার স্বামী আপনাকে কী দিয়েছেন? তাই তার সবচেয়ে সৎ উত্তর হবে, ‘যথারীতি, মাথাব্যথা’। ভালোবাসা আসলে সম্পর্ককে অনেক মজবুত করে। এটা শুকিয়ে যাওয়া লাল গোলাপ এবং আর্চিসের কার্ডে দুটি কার্টুন হৃদয় একে অপরের দিকে তাকিয়ে চোখ মারছে। ভারতীয় স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের খুব ভালোবাসে, তাই তাদের মাথাব্যথা হয়ে ওঠা আমাদের জন্য ভ্যালেন্টাইনস ডে উপহারের চেয়ে কম নয়’।
অক্ষয় এবং টুইঙ্কল
২০০১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খান্না। দম্পতি দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে- আরভ এবং নিতারা। একসময় 'বারসাত' ছবির মাধ্যমে বলিউডি কেরিয়ার শুরু করেন। অভিনয় ছেলে লেখিকা হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন টুইঙ্কল।