আমার-আপনার মতো তারকারাও মাঝে মাঝে অটোরিক্সা চড়েন বৈকি। যদিও তার বেশিরভাগটাই শখে। শনিবার যেমন ইনস্টাগ্রামে মেয়ে নিতারাকে নিয়ে অটো করে ঘুরতে যাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে নিয়েছেন টুইঙ্কল খান্না। জানিয়েছেন কিশোরীকালে বন্ধুরা তাঁকে ‘রিক্সারানি’ বলে ডাকত। এমন এক অটো চালকের কথাও সকলকে জানিয়েছেন যে সিটের নীচে রাখত 'কসাইয়ের ছুরি'।
শনিবার অটো চড়তে যাওয়ার সময়তেই পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় বন্দি হন টুইঙ্কেল। যদিও অক্ষয়-পত্নী পরে এই নিয়ে একটি রিল শেয়ার করে নেন ইনস্টাগ্রামে। যেখানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে অটোর ভিতরে বসে হেসে হেসে চালকের সঙ্গে গল্পে মাততে। চোখে খয়েরি রঙের সানগ্লাস। প্রিন্টেড ড্রেস পরেছিলেন তিনি। রিলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন ‘বাবু সামঝো ইশারে’ গানখানা। নিজের অটো-প্রেম বোঝাতে পোস্টের ক্যাপশনে রেখেছেন বেশ লম্বা। শুরুটা করেছেন ‘এখন আপনারা বুঝতে পারলেন কেন আমার প্রথম বইয়ের প্রচ্ছদে একটি রিক্সার ছবি ছিল’।
‘কৈশোরে আমার বন্ধুরা আমাকে 'রিক্সা রানি' বলে ডাকত এবং আমার ধারণা পুরানো অভ্যাসগুলি দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে যায়। আমার একটা জার্নির কথা মনে আছে যেখানে অটোচালককে ‘(ভাই), আপনি কত বছর ধরে এই অটো চালাচ্ছেন?’ প্রশ্ন করে যাত্রা শুরু করেছিলাম। যাতে বেশ সঙ্কচের সঙ্গেই উত্তর এসেছিল, ‘এই এক বছর হবে মেমসাব। তার আগে এমব্রয়ডারির কাজ করতাম। ভালো লাগে না… কিন্তু এতে টাকা আছে। সঞ্চয় করে সাতটা সোনার বিস্কুট কিনেছি। সব এখন মেয়ের বিয়েতে খরচ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে এখনও একটা বিস্কুট রয়ে গিয়েছে। ভগবান সত্যিই দয়ালু।’ অটো থেকে নামার সময় আমি ওই চালককে উপদেশ দিয়ে বলি, ‘ভাইসাব সোনার বিস্কুটের কথা এভাবে কাউকে বলো না। কে আসলে কীরকম বুঝতে পারবে না। তোমাকে খুনও করতে পারে টাকার জন্য।’ আর তাতে জবাব পাই, ‘মায়ের দুধ খেয়েছি। চেষ্টা করুক না। আমি তার গলা কেটে দেব’। আমি ভাবছিলাম এই সবই বলিউডের প্রভাব। কিন্তু আমার ধারণা ভেঙে যায় যখন সে সিটের তলা থেকে একটি কষাইদের ব্যবহার করার ছুড়ি বের করে এনে আমায় বলে ‘দেখুন’।’
এরপর মেয়েকে নিয়ে এবারের অটোরিক্সা চড়া প্রসঙ্গে টুইঙ্কল লিখলেন, ‘আজ এখানে কোনও ছুড়ি ছিল না। আর দুর্দান্ত ছিল পুরো ব্যাপারটা। আমি আর মেয়ে হাসাহাসি করতে করতে পুরো পথটা বাড়ি ফিরেছি। একটা লাভ সাইন দিয়ে যান যদি আপনিও মুম্বই এবং এর পাগলামোকে এমনভাবেই ভালোবাসেন।’
২০০১ সালে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছে টুইঙ্কল খান্নাকে। ২০১৫ সালে তিনি তাঁর প্রথম বই ‘মিসেস ফানিবোনস’ প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালে ‘দ্য লেজেন্ড অফ লক্ষ্মী প্রসাদ’ শিরোনামে দ্বিতীয় বইটি লিখেছেন। ২০১৮-তে আসে ‘পায়জামা আর ফরগিভিং’।