এপ্রিল মাসের শুরুতেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল জাতীয় পুরস্কারজয়ী বাঙালি পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীকে। প্রথমে ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তারপর ১২ এপ্রিল তাঁকে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ১৮ তারিখ হল কোমরের অস্ত্রোপচার।
জানা যাচ্ছে, উৎপলেন্দুর কোমরের অস্থিসন্ধি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পরিচালকের সহকারী অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়ই এখন দেখভাল করেন তাঁর। পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ সেভাবে নেই বললেই চলে। বর্তমানে মাঝেমধ্যেই স্মৃতিভ্রম হচ্ছে উৎপলেন্দুর। আপাতত ৩ দিন পরিচালককে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তবে বাড়ি ফিরতে চাইছেন উৎপলেন্দু। সব ঠিক থাকলে, ছুটি পাবেন আগামী সপ্তাহে।
দীর্ঘদিন ধরে অর্ধকষ্ট ভুগছেন ‘ময়নাতদন্ত’, ‘চোখ’, ‘দেবশিশু’র মতো সিনেমা বানানো পরিচালক। আপাতত সরকারের তরফে দেওয়া বাড়িতেই থাকেন তিনি। একাই। ১৯৮২ সালে ‘চোখ’ ছবিটি সেরা চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার জিতে নেয়। আর উৎপলেন্দু পেয়েছিলেন সেরা পরিচালকের সম্মান। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, এনএফডিসি-র স্বর্ণপদকও পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কটাক্ষে বুড়ে আঙুল, ৬ বছরের ছোট রাতুলকে আজই বিয়ে রূপাঞ্জনার, কেমন সাজবেন বর-কনে?
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ‘বেড সোর’ এবং সিওপিডি ধরা পরেছিল উৎপলেন্দুর। এখন অনেকটাই ভালো আছেন। রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে খাট থেকে পড়ে গিয়ে চোট এসেছিল কোমরে। সেটাই অপারেশন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোট মিটলেই বিয়ে তৃণমূলের দেবাংশুর? প্রেমিকার সত্যি ফাঁস করলেন ‘খেলা হবে’র জনক
এদিকে উৎপলেন্দু হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে, প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁর দুই সন্তান ঋতাভরী চক্রবর্তী ও চিত্রাঙ্গদাকে। তা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জবাব এসেছিল, ‘উনি নিজেই আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছিলেন। আমার ওঁর উপর সমবেদনা আছে, কিন্তু যে আমার মাকে (শতরূপা) অত্যাচার করত, তাঁকে আমি কীভাবে ক্ষমা করব। মা একাই তো বড় করেছে আমাকে। আর তাছাড়া ওঁর আগের স্ত্রী, একটা ছেলে গোগলও তো রয়েছে। কই তাদের তো কেউ প্রশ্ন করে না?’
আরও পড়ুন: ‘ওঁর তো আরেকটা বউ-বাচ্চা আছে, তাদের পিছনে পড়ুক’! বাবা উৎপলেন্দুর খোঁজ নিয়েছেন? জবাব ঋতাভরীর
অন্য দিকে, বর্তমানে উৎপলেন্দুর দেখভাল করা সন্তানসম অর্ঘ্য হিন্দুস্তান টাইংস বাংলাকে বলেন, ‘ঋতাভরী বা চিত্রাঙ্গদা কিংবা শতরূপা স্যানালকে জানানোর প্রশ্ন আসে না, বা আমার কাছে তাঁদের নম্বরও নেই। আমার মনে না উৎপলেন্দু বাবু ওঁদের জানাতে চায়। গতবার (বছর ছয় আগে প্রকাশ্যে উৎপলেন্দুর নামে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন শতরূপা ও ঋতাভরী) অসুস্থতার খবর নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। উনি আমাকে ছেলে বলে মানেন। আমাকে বহুবার বলেছেন, আমি ওটা ভুলে যেতে চাই। পিতৃত্ব তো ভোলা যায় না। তবে উনি ওই ট্রমায় আর ফিরতে চান না’।