দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া। শুক্রবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন বিশিষ্ট কন্নড় অভিনেত্রী লীলাবতী। বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী। লড়াই করছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ে।
দীর্ঘ কেরিয়ারে তামিল এবং তেলুগু সহ ৬০০টির বেশি ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে নেলামঙ্গলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত অভিনেত্রী লক্ষ্মীকা, বয়স মাত্র ২৪ বছর
লীলাবতীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। X প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘কিংবদন্তি কন্নড় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব লীলাবতী জি-এর প্রয়াণের কথা শুনে দুঃখিত। সিনেমার একজন সত্যিকারের আইকন, তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে তাঁর বহুমুখী অভিনয়ের মাধ্যমে রুপোলি পর্দায় জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর বৈচিত্র্যময় ভূমিকা এবং অসাধারণ প্রতিভা সবসময় মনে রইবে এবং প্রশংসিত হবে। পরিবার এবং ভক্তদের প্রতিব সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি’।
লীলাবতী সখী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ‘নাগকন্নিকে’ চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি দক্ষিণ ভারতীয় ভাষার অনেক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। পাঁচ দশক ধরে তিনি অভিনয় জগতে কাজ করেছেন। কন্নড়, তামিল,তেলুগু ও টুলু ভাষায় দুই শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন লীলাবতী দেবী।
১৯৬০ সালে নির্মিত ‘রণধীর কান্তিরেভে’ (Ranadheera Kanteerave) ছবি লীলাবতীকে লাইমলাইটে নিয়ে আসে। কন্নড় সুপারস্টার রাজ কুমার ও লীলাবতী অভিনীত ছবিটি সুপারহিট হয়। এটাই ছিল লীলাবতী দেবীর প্রথম সুপারহিট ছবি। এরপর ১৯৬৩ সালে কন্নড় ভাষায় মুক্তিপ্রাপ্ত ২১ টি ছবির মধ্যে ১১ টিতে রাজ কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেন লীলাবতী দেবী।
২০০০ সালে কর্ণাটক সরকার থেকে ডঃ রাজকুমার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন লীলাবতী। দক্ষিণী চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য লীলাবতীকে ২০০৮ সালে তুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করা হয়। লীলাবতী দেবীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দক্ষিণের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে।