বিরাট কোহলির রেস্তোরাঁ বেশ জনপ্রিয় ইউটিউবে। ফুড ভ্লগারদের প্রিয় ডেস্টিনেশন বললেও ভুল হয় না। তবে আপাতত সেই রোস্তারাঁ নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। কারণ, একজন দাবি করেছেন তিনি পারম্পরিক পোশাকে গিয়েছিলেন খেতে। আর তাই তাঁকে নাকি ঢুকতে দেওয়াই হয়নি। ওয়ানএইট কমিউনের (One8 Commune) দরজা থেকেই ফিরে আসেন তিনি।
তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সেই ব্যক্তি। সেখানকার ঐতিহ্যবাহী পোশাকই ছিল তাঁর গায়ে। একটি সাদা শার্ট এবং একটি ম্যাচিং ভেস্তি (তামিলনাড়ুতে নীচের শরীরে মোড়ানো একটি সাদা সেলাইবিহীন কাপড়, দেখতে অনেকটা ধুতির মতো)। এবং তিনি যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে, সেখানে তিনি মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের ‘চাঁদাবাজি’, রোজ আসছে ট্রাফিক ফাইন! গলা চড়ালেন অভিনেতা ঋত্বিক
স্যান্ডি অন এক্স নামে একজন ব্যবহারকারীর দ্বারা শেয়ার করা ভিডিয়োটি এখন চূড়ান্ত ভাইরাল। লোকটি দাবি করেছেন যে, তাঁর পোশাকের কারণে তাঁকে ‘আপমার্কেট’ এই রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান যে, মুম্বইয়ের জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে চেকইন করার পরে, তিনি ক্ষুধার্ত অবস্থায় জুহুতে থাকা ওয়ান এইট কমিউনে খেতে ছুটেছিলেন। নিজেকে কোহলির একজন বড় ভক্ত বলেও পরিচয় দিয়েছেন সেই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: আর্চিসের প্রিমিয়ারে মিডিয়াকে কষে ধমক জয়ার! তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া এল অমিতাভের থেকে
ওই ব্যক্তি জানান যে, রেস্তোরাঁর ম্যানেজমেন্ট তাঁকে জানায়, তাঁর পোশাক সেখানকার ড্রেস কোডকে অনুসরণ করে না। ওই ব্যক্তিকে বলেন, ‘রামরাজ কটনের একটি উচ্চমানের পোশাক পরা সত্ত্বেও, আমাকে প্রবেশ করা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে, আমি আমার হোটেলে ফিরে যাচ্ছি। তিনি (বিরাট) এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন আমার বিশ্বাস। আশা করি এমন ঘটনা আর কারও সঙ্গে ঘটবে না।’
বিরাটের রেস্তোরাঁয় তাঁর তামিল সংস্কৃতিকেও অপমান করা হয়েছে বলে দাবি তোলেন তিনি। বলেন, ‘আমি শুধু হতাশ নই, মনে আঘাতও পেয়েছি।’
বলে রাখি, আপনি চাইলে ওয়ানএইট কমিউনে পোষ্য নিয়েও যেতে পারবেন। বিরাট ও অনুষ্কা, দুজনের পোষ্যপ্রেম নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। সেই জায়গায়, মানুষের ঢুকতে না পারার মতো ঘটনা অবাক করেছে অনেককেই। যদিও ওয়ানএইট কমিউনের তরফে এখনও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। বিরাট দ্রুত হস্পক্ষেপ করুক, চাইছেন তাঁর দক্ষিণ ভারতীয় ভক্তরা।