বুধবার কলকাতা পুলিশকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গলা চড়ালেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই অভিনেতার এই পোস্ট নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন ঋত্বিকের সঙ্গে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ফেসবুকে ঠিক কী লেখেন ঋত্বিক। কতগুলো ম্যাসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। যাতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ ও জরিমানার পরিমাণ জানিয়ে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এরপর ঋত্বিক লিখলেন- ‘একটা প্যার্টান লক্ষ্য করলাম! বাকিদের সাথে পর্যবেক্ষণটা ভাগ করতে চাই। ছবিতে "কোল.পোল" আমাকে পাঠানো sms এর স্ক্রিনশট আছে। দেখুন কেমন পছন্দসই মাসে ১০টা থেকে১২টা কেস দেবে বলে একটা নির্বোধ -কাঁচা- চাঁদাবাজির (extortion নাকি অন্যকিছু বলে?!) বন্দোবস্ত করেছে কোল-পোল"।’
তাহলে কি ঋত্বিক দাবি করছেন, এসবই ভাঁওতা! মানে তিনি এত নিয়ম ভঙ্গ করেনইনি? পরেরটুকু পরলে নিজেই বুঝবেন। ঋত্বিক আরও লেখেন, ‘বিশেষ মাস প্রতি দুটো করে এসএমএস। প্রথমটায় দুটি ট্রাফিক ভায়োলেশনের নোটিশ। ২-৩ দিন পর ৮ বা তার অধিক ট্রাফিক ভায়োলেশান এর নোটিশ। মানে মাঝের ২ দিনেই ৮ থেকে ৯ বার ট্রাফিক ভায়োলেশান? তাই নাকি ভাইটু??’
‘মাঝে ১-২ মাস করে চুপ। তারপর আবার যেরম কে যেরম!! জানি না সেই সময় বোধহয় এই প্যার্টান অন্যের সঙ্গে ঘটছে। এই ভাবেই চলছে… আমার এটাকে করদাতাকে নির্লজ্জভাবে লোটার প্ল্যান মনে হচ্ছে সাদা চোখে। গত কাল ২টো ট্রাফিক ভায়োলেশানের নোটিশটা এসে গেছে,পরেরটা এলে জানাব। বেশ একটা ট্র্যাক থাকবে... কিম্বা যদি প্যার্টান বদলায় তাহলেও। আপনাদের অভিজ্ঞতা এব্যাপারে কেমন?’, পোস্ট শেষ করেন ঋত্বিক।
নেটপাড়ার বড় একটা অংশ কিন্তু এরপর ঋত্বিককেই সমর্থন জানিয়েছেন। সৌম্যদীপ গুহ বলে একজন লিখলেন, ‘অনেকের গাড়িই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে আজকাল। আমারটিও করেছে একবার। বাড়ির গ্যারাজে থেকেও ট্র্যাফিক ভায়োলেশনের কেস খেয়ে যাচ্ছে।’
ল্যাদারু দা নামের একটি প্রোফাইল থেকে কমেন্ট আসে, ‘আমি ২১ দিন মুম্বাই থাকাকালীন আমার মোটরসাইকেলে ৩ টে কেস এসেছে । বাইক বাড়ির কেউ চালায়নি, মানে চালাতে পারে না আমার বাড়ির কেউ। ইনফ্যাক্ট চাবিটা পর্যন্ত আমার ব্যাগের ভেতরে ছিল। তারপর থেকে আর কোনো কেসের টাকা দি না, বর্তমানে আমার বাইকে কেসের সংখ্যা ১২৭ টি।’
সৌরভ লিখলেন, ‘আমি ওদের পেজে কয়েক বছর আগে রিভিউ দিয়েছিলাম ওদের সুন্দর কেস দেওয়ার সিস্টেম নিয়ে, তারপর আমাকে ব্লক করে দিয়েছে।’