মঙ্গলবার মুম্বইতে ছিল দ্য আর্চিজ সিনেমার প্রিমিয়ার।যা একটি বিশেষ দিন ছিল বচ্চন পরিবারের কাছে। নাতি অগস্ত্য দাদু আর মামার দেখানো পথ অনুসরণ করেই পা রেখেছেন অভিনয়ে। চলতি বছরের শুরু থেকে আর্চিস নিয়ে চলছে মাতামাতি। কারণ এই ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ শাহরুখ-কন্যা সুহানা খান ও বনি-শ্রীদেবীর ছোট মেয়ে খুশি কাপুরের। এই খুশির দিনেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলেন না বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তুলোধনা করলেন পাপারাৎজিদের।
প্রিমিয়ারে অগস্ত্যকে উৎসাহ দিতে বহুদিন পর একফ্রেমে ধরা দিয়েছিল বচ্চন পরিবার। আজকাল এমনিতেই খবর রয়েছে, ঐশ্বর্য শ্বশুরঘর থেকে দূরেই থাকছেন। মা বৃন্দা রাই-এর বাড়িতে রয়েছেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। সঙ্গে মেয়ে আরাধ্যা। অমিতাভ নিজের বাংলো প্রতীক্ষা মেয়ে শ্বেতার নামে লিখে দিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। বচ্চন পরিবারে সম্পত্তি বন্টনের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছ নাকি!
তবে সেসবকে ‘ভুল প্রমাণ’ করেই প্রিমিয়ারে এলেন জয়া, অমিতাভ, ঐশ্বর্য, অভিষেক, শ্বেতা, নভ্যা। ছোট্ট আরাধ্যাও এসেছিল পিসতুতো দাদার সিনেমা সিনেপর্দায় দেখতে।
সামনে গোটা বচ্চন পরিবারকে পেয়ে স্বভাবতই উত্তেজিত হয়ে পড়েন পাপারাৎজিরা। আর তাতে চটে গিয়েই কষে ধমক লাগালেন জয়া। চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘চিল্লাও মত’। অর্থাৎ চিৎকার কোরো না।
ও মা, বউয়ের কথা শুনে সম্মতি দিলেন অমিতাভ নিজেও। মিডিয়ার দিকে ঘুরে বললেন, ‘শুনলে তো কী বলছে…’
টিনা আম্বানির সঙ্গে ছবির জন্য পোজ দেওয়ার সময়তেও একই কাণ্ড। কানে হাত দেন প্রথমে জয়া। তারপর হাতে ইঙ্গিত করে বলেন আসতে কথা বলতে।
এদিন গোটা বচ্চন পরিবার এসেছিলেন কালো পোশাকে। তবে জয়া অফ হোয়াইট কালারের সালোয়ার পরেন। আর অমিতাভের মেয়ের ঘরেরা নাতনি পরেছিলেন লাল রঙের গাউন।
তবে জয়ার রাগিরাগি চেহারা ফের সামনে এলেও, বচ্চন বধূ ঐশ্বর্যকে পাওয়া গেল বেশ খোশ মেজাজে। একটা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ননদের ছেলে অগস্ত্যকে ফোটোগ্রাফারদের সামনে সোলো পোজ দিতে বেশ উৎসাহিত করছেন মামি অ্যাশ। বলছেন, ‘অ্যাগি গো সোলো, গেট ইউস টু ইট’। অমিতাভ আর অভিষেকের সঙ্গে হেসেহেসে কথাও বলছিলেন। মায়ের পাশ ছাড়েননি আরাধ্যা। শুধু তাই নয়, জয়া আর ঐশ্বর্যকে কথা বলতে দেখা যায়নি একবারও।
নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাচ্ছে দ্য আর্চিজ ৭ ডিসেম্বর। ‘দ্য আর্চিজ কমিকস’-এর অবলম্বনে তৈরি এই ছবি, ভারতের প্রেক্ষাপটে। ‘দ্য আর্চিজ’ গ্যাং-এ সুহানা,অগস্ত্য ও খুশির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মিহির অহুজা, যুবরাজ মেন্দা এবং বেদং রায়না।