হিন্দি ছবির গান নাকি ইনস্টাগ্রামের রিলস, তাও নিম্নমানের! এমনটাই বললেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। মঙ্গলবার তাঁকে হিন্দি ছবির গানগুলোর সমালোচনা করতে দেখা যায়। এদিন তিনি টুইটারকেই বেছে নেন নিজের কথা জানানোর জন্য। এই সমাজ মাধ্যমে পরিচালক স্পষ্টই লেখেন, 'আগে মনে হতো ইনস্টাগ্রামের রিলসগুলো যেন বলিউডি গানগুলোর নিম্নমানের ভার্সন। এখন ঠিক উল্টো। বলিউডের গানগুলোকেই যেন ইনস্টাগ্রাম রিলসের খারাপ ভার্সন মনে হয়।'
বিবেকের এই পোস্ট দেখে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে, ইন্ডাস্ট্রির একজন হয়েও এভাবে প্রকাশ্যে বলিউডের গানকে এক হাত নেওয়ায় অনেকেই বেশ অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ অবশ্য তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। কিন্তু তাঁর থেকেও বড় কথা, অনেকেই তাঁর এই পোস্ট দেখে মনে করছেন, জেনেরিক ভাবে টুইটটা করা হলেও, এই টুইট আদতে ‘পাঠান’ ছবির ‘বেশরম রঙ’ গানটিকে নিশানা করেই লেখা হয়েছে।
এক শাহরুখ ভক্ত বিবেকের এই টুইটে কমেন্ট করেন গানটির সমর্থনে। তিনি লেখেন, 'এই দেখো! বেশরম রঙ খেলা দেখিয়ে দিয়েছে। পাঠান নিয়ে এবার উন্মাদনা, চর্চা বাড়বে। শাহরুখ খান, যশ রাজ ফিল্মস শুভেচ্ছা আপনাদের, কে সমালোচনা করছে দেখুন।'
অনেকে তাঁর এই টুইটে তাঁর বিভিন্ন ছবির পোস্টার শেয়ার করেন, করে লেখেন, ' কিছু অরিজিন্যাল গানের নিদর্শন!' সেখানে ‘চকলেট’, ‘ধন ধনা ধন গোল’, ‘হেট স্টোরি’, ‘জিদ’ ইত্যাদির মতো ছবির পোস্টার ছিল। এক টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর এই পোস্টে কমেন্ট করে লেখেন, 'একটা উপদেশ, কোনও বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত কিছু বলা খারাপ। আপনি ছবি তৈরি করেন, সেটাই করুন না। সবাইকে সব বিষয়ে জ্ঞান দিতে হবে না আপনার।' আরেকজন তাঁকে উপদেশ দিয়ে লেখেন, 'ওয়েল! আপনিও কিন্তু একাধিক খারাপ কপি এমনকি খারাপ অরিজিন্যাল উপহার দিয়েছেন বলিউড এবং দর্শকদের!'
তবে অনেকেই যেমন তাঁর এই টুইটের বিরোধিতা করেছেন, তেমন অনেকেই তাঁকে সমর্থনও করেছেন। একজন তাঁর কথায় সমর্থন করে লিখেছেন, 'বলিউডের হিট ফর্মুলা পুরনো হয়ে গিয়েছে এখন। ওঁরা শিখতে চান না। টাকা ধ্বংস করার পরই ওঁরা কিছু শেখেন।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'সোজা কথা স্পষ্টভাবে।'
বিবেক অগ্নিহোত্রীর শেষ ছবি হল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। চলতি বছরেই এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল তার উপর ভিত্তি করে তিনি এই ছবিটি বানিয়েছেন বিবেক। ২০২২ সালের অন্যতম হিট ছবি হল এটি। এখানে অনুপম খের সহ মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমারের মতো অভিনেতাদের দেখা গিয়েছে।
সম্প্রতি বিবেকের এই ছবিটিকে চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। নাদাভ ল্যাপিড এই ছবিটিকে অপপ্রচার এবং অশ্লীল ছবি বলে দেগে দিয়েছেন। এই মন্তব্যের উত্তরে বিবেক বলেছেন, 'ওঁরা যদি প্রমাণ করতে পারেন যে এই ছবির একটিও দৃশ্যে ভুল বা মিথ্যে দেখানো হয়েছে তাহলে আমি ছবি বানানোই ছেড়ে দেব। এঁরা কারা যাঁরা সবসময় ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান?'
শুধু তাই নয়, বিবেক জানিয়েছেন তিনি আগামীদিনে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর চলা অত্যাচারের সম্পূর্ণ ঘটনা প্রকাশ্যে আনবেন ছবি হিসেবে আর সেটার নাম দেবেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস আনরিপোর্টেড’। তিনি জানিয়েছেন, 'এই বছরের মধ্যেই তিনি সেই ছবিটি নিয়ে আসবেন।'