সৌজন্যের রাজনীতির ক্ষেত্রে বঙ্গভূমিতে ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব-এর জুড়ি মেলা ভার। তবে এই মামলায় দেব-এর দিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন সদ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়া অপর তারকা যশ দাশগুপ্ত। গত মাসেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন ‘গ্যাংস্টার’ তারকা। প্রত্যাশা মতোই ভোটের টিকিটও মিলেছে। হুগলি জেলার ‘চণ্ডীতলা’ বিধানসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত। অন্যদিকে এই আসনে যশের বিরুদ্ধে লড়ছেন সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রবীণ বাম নেতা মহম্মদ সেলিম এবং তৃণমূলের তরফে এবারও টিকিট পেয়েছেন গত দু-বারের বিধায়ক স্বাতী খন্দকর।
জোরকদমে ভোট প্রচার চালাচ্ছে তিন শিবিরও। ইতিমধ্যেই ভোটগ্রহণ পর্বও শুরু হয়েছে রাজ্যের অনান্য প্রান্তে। এদিন সন্ধ্যায় চণ্ডীতলা বিধানসভার অন্তর্গত জনাই এলাকায় ভোট প্রচার সারছিলেন যশ। ফেরার পথে তিনি দেখেন পথসভায় বক্তব্য রাখছেন প্রবীণ বাম নেতা তথা তাঁর বিরোধী প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। দেখা মাত্রই গাড়ি থামিয়ে মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ সারেন যশ। এই প্রথমবার একে অপরের মুখোমুখি হলে যশ ও মহম্মদ সেলিম। পায়ে হাত দিয়ে প্রবীণ নেতার আর্শীবাদও নেন যশ। রাজনীতির ময়দান যতই যুদ্ধ থাকুক না, যশকে আর্শীবাদ দিতে কার্পণ্য করেননি সিপিআইএম-এর এই হেভিওয়েট নেতা।
রাজনীতিতে আনকোড়া হলেও এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বেন না যশ। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে নিজের বিরোধী শিবিরের প্রতি আগে থেকেই সৌজন্যবোধ দেখিয়ে রাখেছিলেন যশ। তাঁর কথায়, ‘আমার বিপরীতে যে প্রবীণ রাজনীতিবিদরা রয়েছেন তাঁদের আমার প্রণাম। নিজের সম্পর্কে এটাই বলবো যে আমি রাজনীতি অত বুঝি না। মানুষের হয়ে কাজ করতে চাই, মানুষের পাশে থাকতে চাই। আশা করছি ওঁনাদের আর্শীবাদও আমার মাথার উপর থাকব’।