২০২২ সালের তৃতীয় ছবি মুক্তির অপেক্ষায় অভিনেতা অক্ষয় কুমার। বলিউডের খিলাড়ি কুমারকে শীঘ্রই ‘রক্ষা বন্ধন’ ছবিতে দেখা যাবে।
অক্ষয়ের শেষ ছবি ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’ বক্স অফিসে তেমন লক্ষ্মীলাভ করতে পারেনি। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে একজন অভিনেতার জীবনে উত্তরাধিকারের অপ্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন অক্ষয়। একবার অভিনেতা বলেছিলেন, উত্তরাধিকার থাকার কোনও মানে হয় না।
১৯৯১ সালে ‘সৌগন্ধ’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন অক্ষয় কুমার। অল্প সময়ে একাধিক ছবির শ্যুটিং করার জন্য পরিচিত অভিনেতা। প্রতি বছর একাধিক ব্লকবাস্টার ছবি দর্শককে উপহার দেন।
আরও পড়ুন: একাই ভালো আছি, মাঝেমধ্যে একাকীত্ব গ্রাস করে, সংযোগে ভয় হয়: জাহ্নবী কাপুর
২০১৭ সালে রাজীব মাসান্দকে দেওয়া এক গোলটেবিল সাক্ষাৎকারে অক্ষয় প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান, আয়ুষ্মান খুরানা, রাজকুমার রাও এবং বরুণ ধাওয়ানের সিনেমা সম্পর্কে কথা বলেছেন। উত্তরাধিকার থাকার বিষয়ে অক্ষয় বলেন, ‘আমার মতে একটাই জিনিস বলে, প্রতিদিন কাজ চালিয়ে যাওয়া। কারণ এটা আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে। আমি কাজ করতে পছন্দ করি, ছুটি কাটাতেও পছন্দ করি। আমি একটি পারিবারিক জীবন পছন্দ করি এবং আমি ঠিক এটাই চাই। এই উত্তরাধিকার তো হয়েই থাকে, কিছু আসে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক বড় বড় অভিনেতা, পুরানো অভিনেতাদের দেখেছি। একজন সুপার ডুপার স্টার ১০০ টাকার জন্য একজন প্রোডাকশনের লোকের সঙ্গে ঝগড়া করছিল, তারা ছোট ভূমিকায় কাজ করছিল। কিছুই বলার নেই। আমি চাই জীবনে এমন কোনও জিনিস করতে, যেন বড় বড় ব্যক্তিত্বদের কদর করা হয়। উত্তরাধিকার বড়াই করে কোনও লাভ নেই।’
আরও পড়ুন: ‘দেখনদারি না করলে পরিশ্রম করে কী করলাম!’, জিমে ঘাম ঝরিয়ে চকচকে লুকে অনুষ্কা
অক্ষয়কে শীঘ্রই 'রক্ষা বন্ধন' ছবিতে দেখা যাবে। ছবিতে পণপ্রথার মতো বিষয় তুলে ধরবেন অভিনেতা। ছবির ট্রেলার লঞ্চের সময় অক্ষয় বলেছিলেন, 'ফিল্ম করার সময় আমি শুধু সমস্যার কথা বলি না। সমাধান খুঁজি। 'টয়লেট: এক প্রেম কথা', 'প্যাডম্যান' এবং আরও অনেক কিছুতে সমাধান রয়েছে। তেমনি পণের (যৌতুক) সমাধান রয়েছে এই ছবিতে (রক্ষা বন্ধন)। আমাদের এবং আমাদের সমাজের কি করা উচিত তার উত্তর আছে। সমস্যার সমাধান দেবে ছবিটি।'
আনন্দ এল রাই পরিচালিত, 'রক্ষা বন্ধন' আগামী ১১ অগস্ট সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। এর পাশাপাশি অক্ষয়ের আসন্ন প্রোজেক্ট 'সেলফি', 'রাম সেতু', ‘মিশন সিনড্রেলা’, ‘ওএমজি ২’ এবং ‘বড়ে মিয়া ছোট মিয়া’ মতো ছবি।