সুস্থ থাকার জন্য যোগ-ব্যায়ামের ওপর জোর দেওয়া হয়। এর ফলে একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এমনকি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। করোনা সংক্রমণের সময়েও অধিক ব্যায়াম ও এক্সারসাইজের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। যোগব্যায়ামের জন্য আমরা সাধারণত সকালের সময়ই বেছে থাকি। কিন্তু একটি সমীক্ষা অনুযায়ী সকালের তুলনায় সন্ধ্যাবেলা এক্সারসাইজ করলে তা শরীরের পক্ষে অধিক উপযোগী প্রমাণিত হতে পারে--
শারীরিক কসরতের ওপর অস্ট্রেলিয়ায় একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। স্প্রিংঙ্গার নামক জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যাবেলা এক্সারসাইজ করলে অধিক সুফল লাভ করা যায়। এর সাহায্যে মেটাবলিক স্বাস্থ্যোন্নতি সম্ভব হয়। পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলা এক্সারসাইজ করলে হৃদরোগ ও ব্লাড শুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই সমীক্ষায় শুধু পুরুষ, বিশেষত যাঁরা অধিক মেদবহুল আহার গ্রহণ করে থাকেন, তাঁদের এই সমীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। সমীক্ষায় মহিলাদের অন্তর্ভূক্ত না-করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে পিরিয়ডসের সময় মহিলাদের মেটাবলিজম ধীর গতির হয়ে পড়ে।
সমীক্ষায় উঠে আসে, সকালে যাঁরা ব্যায়াম করেন, তাঁদের মেটাবলিক হেল্থে বিশেষ ফারাক চোখে পড়েনি। কিন্তু সন্ধ্যাবেলা যাঁরা এক্সারসাইজ করেছেন, তাঁদের মেটাবলিক হেল্থে উন্নতি দেখা গিয়েছে। ব্যক্তি যা খাবার গ্রহণ করে, তা হজম করে শক্তিতে পরিণত করার প্রক্রিয়াকেই মেটাবলিজম বলা হয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, সন্ধ্যাবেলা এক্সারসাইজ করলে মেটাবলিক হেলথ ভালো হয়। পাশাপাশি ব্লাড সুগার ও কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া ওজন কম করাও সহজ হয়। সন্ধ্যাবেলার এক্সারসাইজ হৃদরোগীদের জন্য উপযোগী। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যাবেলা এক্সারসাইজ করলে অনিদ্রার সমস্যাও দূর হয়।
মেটাবলিজমের জন্য কী খাবেন—
- সুস্থ মসতেজ ফল ও সবজি
- হলুদ
- প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্যবস্তু
- ডার্ক চকোলেট
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
- দই
- মুসুর ডাল
- মেথি দানা
- গ্রিন টি ও কফি
Disclaimer- এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা ও বাস্তবিকতা সুনিশ্চিত করার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এর নৈতিক দায়িত্ব হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার নয়। তাই পাঠকদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, যে কোনও উপায় অবলম্বনের পূর্বে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। আপনাদের তথ্য সমৃদ্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।