ভারতের একাধিক অঞ্চলে এখন মহিলাদের মাসের বিশেষ দিনগুলোর সময় নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। মেনস্ট্রুয়েশন কাপ বা ট্যাম্পন তো ছেড়েই দিন, স্যানিটারি ন্যাপকিন পর্যন্ত ব্যবহার করেন না অনেকেই। বেসিক হাইজিন মেনটেন করা হয় না। ফলে সেই সমস্যা দূর করতে এবার উদ্যোগ নিল আমাজন ইন্ডিয়া। একই সঙ্গে তাদের লক্ষ্য মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলা। আর এই দুটো জিনিসকে মাথায় রেখেই কমিউনিটি এনগেজমেন্টের অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে একটি স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদন ইউনিট চালু করল।
এই স্যানিটারি ন্যাপকিন উৎপাদন ইউনিটটি হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার চন্দ্রিপুর গ্রামে অবস্থিত। সেখানকার স্থানীয় মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে। এখানে ২০ জনের বেশি মহিলা কাজ করতে পারবেন।
এই ইউনিটে প্রতি ঘণ্টায় ১২০০ স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি হতে পারবে। তবে কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, হায়দ্রাবাদ এবং মুম্বইতে একই রকমের আরও দুটো ইউনিট চালু করা হয়েছে। এখানে কর্মীরা যেমন আধুনিক প্রশিক্ষণ পাবেন তেমনই কম দামে কী করে উন্নতমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করা যায় সেটাও দেখানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি বন্ধুদের মজলিস জমল গীতা দত্তের গানে, ফেসবুকে পোস্ট হতে নিমেষেই ভাইরাল, দেখুন ভিডিয়ো
ভারতের গ্রামাঞ্চলে আজও স্যানিটারি ন্যাপকিনের জোগান যথেষ্ট নয়। সেটা কমাতেই এই ব্যবস্থা। এতে স্থানীয় মহিলাদের যেমন রুটি রুজির ব্যবস্থা হবে তেমনই স্বল্প দামে স্বাস্থ্যকর স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যাবে।
এই উদ্যোগের বিষয়েআমাজনের ইন্ডিয়া অপারেশনের ডিরেক্টর পিপল এক্সপেরিয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (পিএক্সটি) লিজু থমাস বলেন, 'আমাজন ইন্ডিয়া দেশজুড়ে আমাজনের ফুলফিলম্যান্ট সেন্টার, সর্টেশন সেন্টার এবং ডেলিভারি স্টেশনগুলির আশেপাশে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাজন ইন্ডিয়ার বিভিন্ন কমিউনিটি এনগেজমেন্ট উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতাবিধি, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দক্ষতা ও জীবিকা এবং পরিবেশের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রদায়ের সদস্যদের ক্ষমতায়নের দিকে লক্ষ্য রাখি। কলকাতায় মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য এই নতুন উদ্যোগটি তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই অঞ্চলের মহিলাদের একটি উল্লেখযোগ্য জীবিকার বিকল্প দেবে।'