বর্তমান সময়ে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। অ্যাজমা তেমনই একটি সমস্যা। বেঁচে থাকার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে প্রয়োজন ঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারা। অ্যাজমা তাতেই বাধা তৈরি করে। ফলে জীবনযাত্রার নানা ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় এই সমস্যায় ভুক্তভোগীদের। সম্প্রতি এক গবেষণায় দাবি, অ্যাজমার কারণে সাধারণ যৌনজীবনও ব্যাহত হয়। ব্রিটেনের এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যাজমায় আক্রান্তদের যৌনমিলনের সময় বা পরে ইনহেলারের সাহায্য নিতে হয়। অর্গ্যাজমের সময় অনেকের অ্যাজমার লক্ষণ বেড়ে যায়। এছাড়াও মৌখিক যৌনতার সময় শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলেও অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যায়। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, অ্যাজমার কারণে কমে গিয়েছে যৌনমিলনের হার ও সময়। ফলে সঙ্গীদের মধ্যে বেড়েছে সম্পর্কের জটিলতা।
কী কী কারণে অ্যাজমার লক্ষণ দেখা যায়
অন্য সময়ের তুলনায় যৌনতার সময় শরীরের উত্তেজনা অনেকটা বেড়ে যায়। এই কারণে দেখা দিতে পারে অ্যাজমার সমস্যা।
যৌনতার সময় অনেকে সুগন্ধি ধূপ বা তেল ব্যবহার করে থাকেন। এর গন্ধ থেকেও অ্যাজমার সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে।
অনেকেরই ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি থাকে। ল্যাটেক্স ফ্লেভারের কন্ডোম ব্যবহার করলে অ্যাজমার সমস্যা বাড়তে পারে।
যৌনতার সময় নানারকম পোজেই মিলন ঘটতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট পোজে শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এর থেকে অ্যাজমা বাড়তে পারে।
এছাড়াও ধুলো, ময়লা, সিগারেটের ধোঁয়া ইত্যাদি শোওয়ার ঘরে থাকলে তা থেকে অ্যাজমার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই সময় কী করা উচিত
মিলনের সময় অ্যাজমার সমস্যা হলে দেরি না করে সঙ্গীকে সেটা জানানো উচিত।
অনেকে সামান্য বিশ্রাম নিয়েই আবার যৌনতায় অংশ নেন। তেমনটা না করে শরীরকে প্রয়োজনমত বিশ্রাম দেওয়া উচিত।
যে যে পোজের কারণে শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে, সে পোজগুলো এড়িয়ে চলা দরকার।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
যখন শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রয়েছে তখনই যৌনমিলনে অংশ নেওয়া উচিত। এতে মিলনের সময় হঠাৎ বাধা তৈরি হয় না।
ঠিক সময়ে ওষুধ খেলে অ্যাজমা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
খাওয়াদাওয়ার অন্তত দুঘন্টা পর যৌনমিলনে যাওয়া উচিত। খাওয়াদাওয়ার পরে পেট ভর্তি থাকায় শ্বাস স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘন হয়। এই সময় মিলিত হলে অ্যাজমার সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক।
ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করার পর মিলিত না হওয়া ভালো। এর ফলে অ্যাজমার সমস্যা বাড়তে পারে।