বন্ধু বা পরিবারের কাছে ছিঁচকাঁদুনে হিসেবে পরিচিত। সুযোগ পেলেই লোকে আপনার অল্পতেই কেঁদে ফেলার স্বভাব নিয়ে মজা করে? তবে এবার সবার আগে শেয়ার করে ফেলুন এই খবর। দেখবেন মুখের মতো জবাব তাঁরা পেয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কান্না মন ও শরীর দুইয়ের জন্যই ভালো। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, কান্না পেলে তা আটকানোর প্রয়োজন নেই বরং কেঁদে নেওয়াই ভালো। চলুন এবার চট করে উপকারিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক--
চোখ পরিষ্কার থাকে
কাঁদার সময় চোখ থেকে যে জল বের হয় তা আমাদের চোখের মণি আর চোখের পাতা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয়। এটি আমাদের চোখকে শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকেও বাঁচায়। ফলে এটি চোখ পরিষ্কার রাখতে আর দৃষ্টি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
ব্যাক্টেরিয়া ও জীবাণু খতম হয়
চোখের জলে থাকা অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান চোখে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করে। রাস্তা-ঘাটে, বাসে-ট্রামের ধুলো-বালি থেকে সারা দিনে চোখের ভেতর কত ময়লাই না জমা হয়। এগুলো থেকে নানা জীবাণু আমাদের চোখের ভিতরে বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু চোখের জল সেসব জীবাণু ধ্বংস করতে খুবই কার্যকরী। চোখের জলে থাকা আইসোজাইম মাত্র ৫-১০ মিনিটে চোখে বাসা বঁধা ৯০-৯৫ শতাংশ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে পারে।
মন ভালো রাখে
মনের মধ্যে চেপে রাখা কষ্ট যদি কান্নার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে, তাহলে মন হালকা হয়। তাই মনোবিদরা বলেন মন খারাপ হলে, কান্না পেলে নিজেকে না আটকাতে। বরং সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সহজেই চোখের জল ফেলতে পারেন, তাঁরা অবসাদের সঙ্গে খুব ভালো মোকাবিলা করতে পারেন।
মাথা যন্ত্রণা কমে
কাঁদলে অতিরিক্ত ATCH হরমোন বের হয়ে যায় এবং কর্টিসোলের পরিমাণ কমে যায়। ফলে মনের ভিতরে থাকা চাপ কমে যায়। আমাদের শরীরে থাকা চাপ নিবারক আরেকটি উপাদান হচ্ছে লিউসিন এনকেফালিন। কান্নার ফলে এটি নিঃসৃত হয়। এটি ব্যথা কমায় এবং মন ভালো করে দেয় নিমেষে।
ঘুম ভালো হয়
২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁদার সময় আমাদের শরীরের ভিতরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে তাড়াতাড়ি ও প্রশান্তির ঘুম আসে।